আরিফুল ইসলামঃ
আজও বাঙালির চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে ভাসে
ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর বাড়ির সেই ভয়াবহ দৃশ্য।
সেই অমাবস্যার রাত,ঘোর অমানিশা
একদল বিশ্বাস ঘাতক মীরজাফরের দল হানা দিয়ে
নিঃস্ব করে দিয়েছিল হত্যা করে বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে।
সেদিন আকাশে-বাতাসে ছিল গোলাবারুদের গন্ধ
মেশিনগানের আঘাতে ঝাঁঝরা হওয়া ক্ষত-বিক্ষত
রক্তাক্ত দেহের আর্তনাদে কেঁদেছিল বাংলাদেশ।
সেদিন ঘাতকের দল মৃত্যু খেলায় উঠেছিল মেতে।
যে বঙ্গ পিতা সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিল
যার হাত ধরেই এসেছিল একটি স্বাধীন পতাকা
যে পিতা ঢাল হয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন বাঙালির পাশে
সদা সংগ্রাম করেছেন দোসরদের বিরুদ্ধে
ওরা সেই বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গ পিতাকে নির্মম-
নৃশংসভাবে হত্যা করে ক্ষত-বিক্ষত করেছিল তার দেহ।
যে মমতাময়ী মা সকলকে একই ছায়ার আঁচলে
জড়িয়ে রেখেছিল মায়া-মমতার ভালোবাসা দিয়ে
ওরা সেই আঁচলেই এঁকে দিল রক্তের দাগ
রক্তে রঞ্জিত করল জননীর দেহ কেঁড়ে নিল সবার প্রাণ।
যে পিতা মানবতার গান শোনালেন
যে পিতা বাঁচতে শেখালেন স্বাধীনভাবে
যে পিতা আঁধার ভেদ করে আলোর রশ্মি এনে দিলেন
এ বাংলার কিছু স্বার্থলোভী মানুষ তাঁকেই ঠেলে দিল আঁধারের গহ্বরে।
কিন্তু ওরা জানে না আমাদের বঙ্গ পিতাকে
কখনো নিশ্চিহ্ন করা যায় না তিনি অমর
তিনি চিরঞ্জীব হয়ে আছেন ৫৬ হাজার বর্গমাইল জুড়ে
বাংলার ঘরে ঘরে, বাঙালির হৃদয়ের মনিকোঠায়।
তিনি আছেন, তিনি থাকবেন যুগ থেকে যুগান্তর
এই সবুজ শ্যামল বাংলায় লাল সবুজের পতাকাতলে।