হায় আষাঢ় হায় আষাঢ়!
তোমার ভাব গম্ভীর কান্নায়
আমার ভাবনার আকাশ তোলপাড়
সেই কবে যৌবনের প্রথম প্রহরে
তুমিই তো আমাকে উন্মাদ করেছিলে
পাহাড়ের গভীরে বড়ঘোনার বাকে
তোমার বজ্জ্র রুদ্র রূপ
উচ্ছল পাহাড়িনি বললো
আকাশ এতো কালো হয়
বর্ষণ হবে খুব
একটু পরেই পাহাড়ের ঢলে
ভাসাবে চারিদিক
যেতে যেতে বাঁকা চোখের ইশারা
আমার কাছে এসো
মেঘের গর্জ্জন, বারিষের অঝোর ধারায়
ভেসে যাবে তুমি
হঠাৎ বাজ পড়লো
জঙ্গলের নিরবতা ভেঙে পালালো বুনো হরিণি
আমার বুকে পাহাড়িনির তপ্ত নিঃশ্বাস
আমরা ভেসে গেলাম আষাঢ়ে অঝোর বরিষণে
হিজল তমাল দোল খায়
কদমের ডালটি পড়েছে নূয়ে
কেঁপে কেঁপে ওঠে পাহাড়িনির দেহমন
বললো বেহায়া আষাঢ় আমার সব নিলো কেড়ে
আমি যাই, উন্মাদ হলাম,
এই অঝোর ধারা বরিষণে
আমি যাই যে জ্বলে
কোনদিন কোনদিন আমাকে রাখিওনা মনে
কত দিন কত কাল চলে যায়,
এখনও পাহাড়ের ঢালে আষাঢ়ে অঘোর বরিষণে
পাহাড়িনি আমার হয়তো এখনও পথ চেয়ে আছে।
ছনের চালাঘর বর্ষার জলে যায় ভেসে
আষাঢ়ের সন্ধ্যা বড় আধার ডেকে আনে
তারচেয়েও আধারে ডুবে আছে
আমার পাহাড়িনির জীবন।
নিরুপায় দিগন্তের মুসাফির
ছুটে চলি,পিষ্ট হই নগরের নরক যাতনায়।
রচয়িতাঃ কবি আলীউর রহমান রুশাই
১৫/৬/১৯
চট্টগ্রাম।