এম.এইচ মুরাদঃ
শ্রীলংকার সাথে বাংলাদেশের তুলনা করে অনেকেই দেখছি তৃপ্তির ঢেকুর দিচ্ছেন। অবাক করা এক জাতি আমরা। যারা নিজের দেশের দুর্ভাগ্য কামনা করি নিজে থেকেই। এর মধ্যে সরকার বিরোধী রাজনীতিবিদ যেমন আছেন, তেমনি সুশীল সমাজও আছেন। বিদেশী সুশীলদের সাথে আবার আমাদের দেশীয় সুশীলদের পার্থক্য অনেক। দেশীয় অধিকাংশ সুশীল স্বপ্নে নিজেকে ক্ষমতার চেয়ারে দেখেন। অধিকাংশ এনজিও দাতা গোষ্ঠীর স্বার্থে পরিচালিত হয়, দেশের স্বার্থ তাদের কাছে গৌণ।
এই তুলনাকারীদের মধ্যে তিনটা শ্রেণী আছেন। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ- যারা দেশকে এখনই শ্রীলংকা বানিয়ে দিচ্ছেন। সরকারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। আরেকপক্ষ, এমন সুক্ষভাবে ইংগিত দিয়ে লেখা বা আলোচনা করেন যা দেখে মনে হবে যে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী এমপিদের অবস্থা শ্রীলংকার মতই হবে। এটা একটা মনস্তাত্তিক গেম। মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়ার জন্য। ভয় পেলেন তো হেরে গেলেন।
আরেকপক্ষ, আরও সুক্ষভাবে ভয় দেখায়। তারা আপনাকে উপদেশের আদলে মনের মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দিবে। এটাও একটা মনস্তাত্তিক গেম। ওরা বলবে, বাংলাদেশ যাতে শ্রীলংকা না হয় সেজন্য সরকারকে কি কি করতে হবে। এইসব ঊপদেশের মধ্যেই ইংগিতে বলে দিবে সরকার আসলে সেই ভুলটিই করছেন।
সম্মুখ যুদ্ধ সবাই দেখে। যাদের শক্তি বেশি তারা টিকে থাকেন। ইতিমধ্যে দেশের বিরোধী দলগুলো সেই যুদ্ধে প্রায় হেরে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে তারা ও তাদের বুদ্ধিজীবিরা মনস্তাত্তিক যুদ্ধটা করছেন, যেটা ভয়ংকর যুদ্ধ। মনে ভয় ঢুকিয়ে দেয়া, নৈতিকভাবে দুর্বল করে দেয়া। এই যুদ্ধে তারা খানিকটা সফল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারকে আরো কৌশলী হয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার পাশাপাশি এই ভিত্তিহীন ভয় দূর করাটাও জরুরী বলে মনে করছি।