স্টাফ রিপোর্টারঃ
এক ক্লিকে গরু যাবে হাট থেকে হাটে’ এমন স্লোগানে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে শুরু হলো ডিজিটাল কোরবানি পশুর হাট। রোববার (৩ জুলাই) এ হাটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
এসময় তিনি ডিজিটাল পশুর হাটে কেউ যেন প্রতারিত না হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই ৭১ হাজার টাকায় কোরবানির গরু ক্রয় করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশে করোনা মহামারি দেখা দিলে ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ডিজিটাল পশুর হাট চালু করে। তবে এবারই প্রথম বারের মতো কেন্দ্রিয়ভাবে ৬৪ জেলায় কোরবানি পশুর ডিজিটাল হাট চালু হলো।
সরকারের আইসিটি বিভাগ, একশপ-এটুআই, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও ই-ক্যাবের আয়োজনে এই কেন্দ্রীয় অনলাইন কোরবানি পশুর হাট বসেছে। এই অনলাইন হাটের সহযোগিতায় রয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিডিএফএ)।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ ম রেজাউল করিম বলেন, একটা সময় ভারত-মিয়ানমার থেকে পশু আসত। কিন্তু এখন দেশেই বিপুল সংখ্যক পশু আছে। চাহিদার চেয়েও বেশি পশু দেশেই আছে। অনলাইন হাট থেকে পশু ক্রয়ের পর পছন্দ না হলেও তা ফেরত দিতে পারবেন ক্রেতা। ফিন্যান্সিয়াল ট্রানজেকশনও অনলাইনে হওয়ার কারণে ঝুঁকিও নাই এখন।
তিনি আরও বলেন, এখন দরকার হলো কেউ যেন প্রতারিত না হয় সেদিকে দৃষ্টি দেওয়া। কেউ প্রতারিত হলে এখানে ক্রেতারা সংযুক্ত হতে দ্বিতীয়বার আগ্রহী হবে না।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও অন্যান্য ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে যে উন্নতি করেছে, সেটা সম্ভব হয়েছে সরকারের ডিজিটাল অবকাঠামো উন্নয়ন করার কারণে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হয়েছে।
তিনি আরও সম্প্রতি ডিবিআইডিসহ আরও চারটি ডিজিটাল প্রযুক্তি উন্নয়নে কাজ করেছি। এসব বাস্তবায়ন হওয়ার পর ই-কমার্স খাতে শৃঙ্খলা ও আস্থা আরও উন্নত হবে। এই খাতে উদ্যোক্তা তৈরি করতে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি প্রণয়ন করেছে।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, ২০২০ ও ২০২১ সালে অনলাইন কোরবানি হাট হিসেবে ডিজিটাল হাটের সফল বাস্তবায়ন করেছে ই-ক্যাব। ২০২০ সালে ২৭ হাজার এবং ২১ সালে তিন লাখ ৮৭ হাজার পশু বিক্রি করে মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ডিজিটাল হাট। আমাদের কর্মীরা ঈদের দিন কাজ করে নিজেদের ঈদের খুশি অন্যদের জন্য পরিত্যাগ করেছেন।
ই-ক্যাব সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘ই-ক্যাবের উদ্যোগে পর পর তিনবার এই ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন হচ্ছে। সরকারের চারজন মন্ত্রী এই হাট থেকে পশু কিনেছেন। এই ধরনের জীবন্ত প্রাণী এবং উচ্চমূল্যের এ ধরনের সর্বজনীন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম বিশ্বে খুব বিরল। আমরা আশা করছি এবারও কার্যক্রম সফল হবে।’
এদিকে, এবার ডিজিটাল হাটে দুটো নতুন সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে গরুর ওজন মাপার ডিজিটাল ক্যালকুলেটর এবং পূর্বাচলে গরু রাখার জন্য একটি জায়গাও রাখা হয়েছে। এছাড়া প্ল্যাটফর্মে যারা পশু বিক্রি করবেন তাদের আয়োজকদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে বলে জানানো হয়।