বিনোদন ডেস্ক:
প্রায় পনের বছর আগের কথা। ২০০৫ সালে মিডিয়াতে কাজ করার স্বপ্ন দেখে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় এসেছিল ছেলেটি। নবাবপুরের একটা মেসে ঠাঁই হয় তার। খেয়ে না খেয়ে ঢাকা শহরে ছুটোছুটি করে আবার ফিরে যায় সে। এর বেশ কিছুদিন পর বিটিভি একটা ফ্যাশন শোতে অংশগ্রহণের সুযোগ আসে।
কিন্তু কী আর করা! ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় আসার মতো টাকা নেই কাছে। বন্ধুরা মিলে তাকে ২৫৭ টাকা জোগাড় করে দেয়। সেই টাকা নিয়ে ঢাকায় আসে ছেলেটি। গল্পটা সেখান থেকেই শুরু। ছেলেটির নাম চিত্রনায়ক আরেফিন শুভ।
২০০৭ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় ক্লোজআপ টুথপেস্টের একটা টিভিসি করে আলোচনায় চলে আসে শুভ। এরপর আর তাকে পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। নাটকে অভিনয় করেও বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
২০১০ সালে খিজির হায়াত খান পরিচালিত ‘জাগো’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শুভর বড় পর্দায় অভিষেক। ২০১২ সালের প্রথম দিকে মোস্তফা কামাল রাজের ‘ছায়াছবি’ নামক একটা রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এরপর পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেমকাহিনী, ভালবাসা জিন্দাবাদ, মন বোঝেনা ছবির শুটিং করেন। ২০১৩ সালে ইফতেখার চৌধুরীর ‘অগ্নি’ ছবিতে অভিনয় করেন। এরপরের গল্প সবার জানা।
সেই ২৫৭ টাকা নিয়ে ঢাকায় আসা আরিফিন শুভ’র হাতে রোববার (৮ ডিসেম্বর) উঠেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একমাত্র রাষ্ট্রীয় ও সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২০১৭ সালের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে শুভ গ্রহণ করেছেন সেরা অভিনেতার পুরস্কার।
প্রথমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার গ্রহণ করে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শুভ বলেন, ‘ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার পুরো টিমসহ আমার দর্শকদের জন্য বিশেষ কৃতজ্ঞতা। জুরিবোর্ড আমাকে যোগ্য মনে করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। শুধু মনে হচ্ছে এখন থেকে দায়িত্বটা আরও অনেক বেড়ে গেল।’