মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিঠির খড়া চলছে ডাকবাক্সে


প্রকাশের সময় :১৮ জানুয়ারি, ২০২০ ২:৪৬ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদ:

‘চিঠি দিও প্রতিদিন, চিঠি দিও।’ চিঠি নিয়ে এক সময় এমন কত গান বাজতো বেতার-টিভিতে। এখন তা শুধুই স্মৃতির পাতার অংশ। আগে যখন ডাকেরই প্রচলন হয়নি, তখন পোষা পায়রার পায়ে বেঁধে প্রিয়জনের কাছে বার্তা পাঠাতো মানুষ। এরপর এলো ডাক যুগ। প্রিয়জনের চিঠি আদান প্রদানের আশায় ডাক পিয়নের পথ চেয়ে থাকার দিন হলো শুরু। সে যুগও আর নেই। ডিজিটাল যুগে সব যোগাযোগই হয় এখন এক নিমিষে।

মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ই-মেইল, ইন্টারনেট, ফেসবুক, ইমো, ভাইবার, মেসেঞ্জারসহ প্রযুক্তির কত রকমের সুবিধা এখন সবার জন্য। শহরের চেয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই গ্রাম অঞ্চলগুলোও। গ্রামের মানুষের অনেক কাছে এখন আধুনিক সুবিধা পৌঁছে গেছে। যখন ইচ্ছে প্রিয়জনের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগটা তারাও উপভোগ করছে।

বার্তা আদান-প্রদানে চিঠির বদলে সবার ভরসা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি। এখন শহর থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে ইন্টারনেট ও ই-মেইল সেবা। তাই ডাক ঘরের মাধ্যমে মান্ধাতা যুগের চিঠি, টেলিগ্রাম সেবার প্রয়োজন ফুরিয়েছে। ডাকবাক্স এখন থাকে ফাকা। চিঠির পরিবর্তে স্থান করে নিয়েছে ময়লা-আবর্জনা।

দেশের সব জেলা এবং উপজেলার ডাকঘর ব্যতীত ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গ্রামের সবকটিতেই এই নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এক সময় এ ডাকঘরগুলো সব সময় মুখরিত থাকতো রানার কিংবা ডাক পিয়নের পদচারণায়। মানুষ ডাকঘরের সামনে অপেক্ষা করতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। আসবে তাদের প্রিয়জনের চিঠি।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় ডাকঘর রয়েছে বেশ কয়েকটি। অধিকাংশ ডাকঘরের পাকা ভবন, সোলার প্যানেল স্থাপন ও আসবাবপত্র নতুন করে তৈরি করা হলেও দাফতরিক কোনো কাজকর্ম নেই বললেই চলে। প্রতিটি ডাকঘরে একজন ডাক বিলিকারী রয়েছেন। তবে তারা যে বেতন পান তা দিয়ে চলতে পারেন না। তবে জেলা ও উপজেলা ডাকঘরগুলো চালিয়ে যাচ্ছে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম। এখানে কিছুটা আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে।

পটিয়া ডাকঘরের পোস্ট মাস্টার জানান, উপজেলার ডাকঘরগুলো বেশ ভালো চলছে। কাজের পরিধিও বেড়েছে। উপজেলার প্রধান ডাকঘর থেকে গড়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ’ চিঠি এবং অনলাইনের মাধ্যমে টাকা-পয়সা আদান-প্রদান হয়। আগে ডাকবাক্সগুলোতে ৫০ থেকে ১০০টি চিঠি পাওয়া যেতো। আর এখন ৫-১০টি চিঠি পাওয়া যায়। আবার কোনো কোনো সময় থাকে না। কারণ এখন সবকিছুই ডিজিটাল হয়েছে।

দেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। মানুষ হাতের কাছে অনেক সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে। সরকারি ডাক বিভাগের পাশাপাশি বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসে চিঠিপত্র ও টাকা-পয়সা আদান-প্রদান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। তাই বলা চলে ডাকঘরের জনপ্রিয়তা এখন তেমন একটা নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র সরকারী দাফতরিক কাজে এবং বিশেষ ক্ষেত্রে ডাকঘরের মাধ্যমে চিঠি আদানপ্রদান করা হচ্ছে।

ট্যাগ :