মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের সেরা শপিং মল বালি আর্কেডে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সর্বস্তরের মানুষের ঈদের কেনাকাটা! এক ছাদের নিচে সবকিছু


প্রকাশের সময় :১০ মে, ২০২১ ৭:৪৪ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

করোনা মহামারির কারনে চলমান লকডাউনের মধ্যে সীমিত পরিসরে খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট ও ‍শপিংমল। ঈদের দিন ঘনিয়ে আসায় এরই মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জমে উঠে ঈদ বাজার। নগর ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে।

গতকাল নগরীর চকবাজারে সম্প্রতি চালু হওয়া বালি আর্কেডে গিয়ে দেখা যায় সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে প্রবেশ করতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার নিয়ে এগিয়ে এলেন একজন। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করলেন অন্যজন। প্রবেশকারী, নিরাপত্তাকর্মী সবাই মাস্ক পরিহিত। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির পুরোটাই নজরে আসে চকবাজার এলাকার অত্যাধুনিক শপিংমল বালি আর্কেডের প্রবেশ পথে।

করোনা পরিস্থিতির কারণেই শপিংমলের প্রবেশ পথে বাড়তি এই সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা। প্রবেশে করতেই ক্রেতাদের নজরে আসবে নিচ তলায় তৈরি পোশাকের জনপ্রিয় ব্র্যান্ড শৈল্পিক ও স্বদেশ পল্লীর আউটলেট। ক্রেতাদের আনাগোনাও আশাতীত। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ট্রায়াল রুম সার্ভিস বন্ধ থাকায় পোশাকের মাপ নিয়ে সতর্ক দেখা গেলো কয়েক জনকে। বাটা ও এপেক্সের আউটলেটে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী ঈদের জুতা-স্যান্ডেল দেখাতে ব্যস্ত বিক্রয় কর্মীরা।

শিশুর ঈদের পোশাক কিনতে অভিভাবকদের ভিড় জুনিয়রসের আউটলেটে। নতুন ডিজাইনের টি-শার্ট, রেডিমেট প্যান্ট, শার্ট কিনতে তরুণরা এসেছেন র ন্যাশনের আউটলেটে। চারপাশে পর্যাপ্ত খোলা জায়গা রেখে স্কেলেটর রয়েছে এক জোড়া।

স্কেলেটর ব্যবহার করে দ্বিতীয় তলায় উঠতেই সব প্রসাধনীর দোকান। ঈদকে সামনে রেখে রূপচর্চায় আগ্রহী তরুণীদের ভিড় এখানের ক্রিমসন, আল্টিমেট কুইন, মেক আপ জোন, কোরিয়ান কনসেপ্ট, কসমেটিক ওয়ার্ল্ড, রিডের আউটলেটে। 

মার্কেট ঘুরে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ক্রেতার দেখা মিলল রয়াল ফ্যাশন ক্লাব, স্পার্ক গিয়ার জেন্টস’, ব্লু ড্রিম, ফিউশন, হুপার, রিচার্জ, বিভি ফ্যাশন, মেগাসিটি, নোকতা, রসিক, পোশাক বাড়িরর আউটলেটে। পঞ্চম তলাজুড়ে আছে মোবাইল অ্যাক্সেসরিজ এবং ভিভো, স্যামসাং, অপ্পো, নকিয়া, রিয়েল মি-সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক মোবাইলের সমারোহ। ষষ্ঠ তলাজুড়ে আছে ইন্টারন্যাশনাল লেভেলের বিশাল এক মাল্টি-কুজিন ফুডকোট।

এই ফুড কোটে এসেছে ঢাকার বিখ্যাত ব্র্যান্ড হাক্কা-ঢাকা, দিল্লি-দারবার, আমেরিকান বার্গার, থার্ড-হোম, দা পাপা চিনো, ইউ বেরিস, ফরমুচা কিউ কিউ অ্যান্ড সালাদ লাভার, আমেরিকান কুজিন, দা গ্রিল মাস্টার, এক্সপ্রেস থাপায়ানকি, ট্রাইভ, বোন চায়না, বোন ক্যাফে, চপস্টিক, স্পাইসি চিলি, মেজ্জাইন্না বাড়ি, ফুচকাওয়ালা ও জুসবার।

উপরের ফ্লোরগুলোতে আছে তিনটি বৃহৎ আকারের সিনেপ্লেক্স, একটি বিশাল অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, নান্দনিক শৈল্পিকতায় ঘেরা বিশাল কনভেনশন হলসহ আধুনিকতার ছোঁয়া ও ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে ভরপুর অত্যাধুনিক জিমনেসিয়াম, আরো একটি বিশ্বমানের রেস্টুরেন্ট। এখানে প্রতিদিন চলছে মেহেদি উৎসব, আচার উৎসব ইত্যাদি।

জানতে চাইলে বালি আর্কেডে জমজমাট বিকিকিনি হচ্ছে জানিয়ে শেঠ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, সরকার এবং জেলা প্রশাসনের সুরক্ষা নির্দেশনা মেনেই আমাদের ব্যবসায়ীরা বিকিকিনি করছেন। আমাদের এখানে সাস্থ্যবিধি শতভাগ নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছেন একঝাঁক তরুণ সেবক। ক্রেতাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সচেতন, মাস্ক পড়া নিশ্চিত করতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন মার্কেটের ৫০ জন নিরাপত্তা কর্মী। আন্তর্জাতিক মানের সুবিধা, ভালো ও নতুন ডিজাইনের পণ্য, ঈদ উপলক্ষে ছাড়সহ নানা কারণে ক্রেতারা এবার ঈদের কেনাকাটায় নতুন সংযোজন বালি আর্কেডকে বেছে নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘নো মাস্ক, নো এন্ট্রি’ নীতি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। লোকজনের ভিড় এড়াতে শপিং মলের প্রবেশ এবং বের হওয়ার পথ আলাদা রাখা হয়েছে।

সোলায়মান আলম শেঠ আরো জানান, চট্টগ্রামবাসীর দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিলো একটি আন্তর্জাতিক মানের শপিং মলের। বালি আর্কেড নির্মাণ করে আমরা সেই চাহিদা পূরণ করেছি। দুটি বেজমেন্টে কার পার্কিং সুবিধা, ২৬০টি দোকানের মাধ্যমে এক ছাদের নিচেই সব কেনাকাটার ব্যবস্থা রেখেছি আমরা।বালি আর্কেড শপিংমল হলো আমাদের শেঠ পরিবারের একটি স্বপ্নের প্রকল্প। চট্টগ্রামে আমাদের বাপ-দাদার অঢেল সম্পত্তি আছে।

আমরা চাইলে এই সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা ব্যাংকে রেখে দিতে পারতাম, কিন্তু আমরা তা করিনি। কারণ, আমরা চেয়েছি চট্টগ্রামের মানুষের জন্য নিদর্শন স্বরূপ কিছু করে যেতে, যার মাধ্যমে শেঠ পরিবারের জন্য সবার মন থেকে দোয়া আসবে, সবাই শেঠ পরিবারকে আন্তরিকতার সাথে মনে রাখবে।

ইচ্ছে ছিল গত ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবো, কিন্তু করোনার জন্য আমরা তা পেরে উঠিনি। সেজন্য গত ২ এপ্রিল বালি আর্কেড উদ্বোধন করি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের এই স্বপ্নের প্রকল্প উৎসর্গ করেছি প্রধানমন্ত্রীকে। চট্টগ্রামের মানুষ এখন গর্ব নিয়ে বলতে পারবে আমাদেরও আছে একটি বিশ্বমানের শপিংমল।

এক ছাদের নিচেই আপনারা পাবেন, জনপ্রিয় সব ব্র্যান্ড শপ, মহিলাদের জন্য আলাদা জোন এবং সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যাবস্থা। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পুরো চকবাজার এলাকায় সিসি ক্যামেরা স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে এই এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক বিভাগকে সহায়তা করছি।

রাস্তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে। আমরা এখন যে হারে মানুষের সমাগম দেখছি, তাতে বলা যায় পরিশ্রম অনেকটা সার্থক হয়েছে আমাদের।

ট্যাগ :