নিউজ-ডেস্ক:
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহাকাশ যুগে প্রবেশ করেছে। এবার মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২২ সালে প্রথমবারের মতো মহাকাশে নভোচারী পাঠাবে বাংলাদেশি।
গত শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এর আগে শুক্রবার গুলশান ক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মশহুরুল আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চতুর্থবারের মতো আয়োজন করা হয়েছে ‘স্পেসফেস্ট ২০২০’। এবারের আয়োজনে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার মহাকাশ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে একজন নভোচারীকে যাচাই-বাচাই শেষে ২০২২ সালে মহাকাশে পাঠানো হবে।
তিনি বলেন, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে যাদের বয়স ২২ থেকে ৩৫ বছর এবং যারা মহাকাশে যেতে আগ্রহী তাদের আবেদন প্রথমে সংগ্রহ করা হবে। এরপর শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে ৫০ জনকে বাছাই করা হবে। এরপর একাধিকবার এদের মধ্য থেকে বাছাইয়ের জন্য বিভিন্ন দেশের নভোচারীদের দেশে আনা হবে। আর যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে ১০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। এরপর নির্বাচিত ১০ জনের মধ্য থেকে একজনকে রাশিয়াতে ১৫ মাসের ট্রেনিংয়ে পাঠানো হবে। আর ট্রেনিং শেষ করার পর তাকে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ১০ দিনের জন্য পরিদর্শনে পাঠানো হবে।
যারা এ বিষয়ে আগ্রহী তাদের আগামী ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে www.astronomybangla.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অন্যদিকে ‘স্পেসফেস্ট ২০২০’ উপলক্ষে জানুয়ারি ২০২০ এর প্রথম দিন থেকে ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি।
এর মধ্যে রয়েছে ১ জানুয়ারি সানফেস্ট, জানুয়ারির ৬ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত অ্যাস্ট্রো অলিম্পিয়াড, ১৭ মার্চ থেকে ২২ মার্চ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক স্পেস ক্যাম্প।
এছাড়া আরও রয়েছে অ্যাস্ট্রোনিস্টদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, অ্যাস্ট্রোনিস্ট কর্মশালা, ডকুমেন্টারি শো, অ্যাস্ট্রোনমি এক্সিভিশন, রকেট বানানো প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিক সেমিনার প্রভৃতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ড. শাহাজাহান মাহমুদ, কবি আলফ্রেড খোকন, এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার প্রমুখ।