স্টাফ রিপোর্টার:
মোবাইল ফোন ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে আবারও সতর্ক করলো টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে আগামী বছরের শুরু থেকে প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। প্রযুক্তিটি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা এসব হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিমই চলবে না।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল বলেন, ‘অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। আগামী বছর শুরু থেকে এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু হবে। তিনি বলেন, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সালের অগাস্ট নাগাদ মোট ১১ কোটি ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৩টি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোন আমদানিকারক, অপারেটর ও দেশে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে এ ডেটাবেইজ তৈরি করা হয়েছে।
২০১৮ সালের আগে যেসব হ্যান্ডসেট বিক্রি হয়েছে এবং আইএমইআই নম্বর ডেটাবেইজে যুক্ত হয়নি এনইআইআর চালু হলে সেগুলোর কী হবে জানতে চাইলে বিটিআরসি প্রধান বলেন, ২০১৯ সালের অগাস্টের আগে ক্রয়কৃত যেসব সেট মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে সেসব হ্যান্ডসেটগুলোকে নির্ধারিত সময়ের জন্য নিবন্ধিত করার একটা সুযোগ দেওয়া হবে। বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট নিয়ে আসার বিষয়ে তিনি বলেন, সেক্ষেত্রে ক্রয়ের রশিদ ও আনুষঙ্গিক কাজগপত্র সংরক্ষণ করতে হবে।
পরবর্তীতে এনইআইর চালু হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সেসব আইএমইআই নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হবে। সরকারি কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ীদের হিসাবে, দেশে বর্তমানে প্রায় তিন কোটি অবৈধ হ্যান্ডসেট মানুষের হাতে রয়েছে। বিটিআরসি বলেছে নকল মোবাইল সেট বৈধের সুযোগ, অবৈধ আমদানি, চুরি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও নকল হ্যান্ডসেট প্রতিরোধ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত, রাজস্ব ক্ষতি ঠেকাতে এই পদক্ষেপ।