ওয়াকার উদ্দীন মোঃ তারেক:
যখন তখন পেটে গ্যাস জমে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন বেশির ভাগ মানুষই। একবার গ্যাস জমে গেলে পেট ভার লাগতে শুরু করে। যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এরপর পেটে ব্যথা, হাঁশফাঁশ অবস্থা, গা গোলানো শুরু হতে পারে। গ্যাস দূর না হওয়া পর্যন্ত মেলে না স্বস্তি। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের
১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।
গ্যাসের এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধের সাহায্য নেন প্রায় সবাই। কিন্তু সব ওষুধেরই কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বেছে নিন এই পাঁচ রকমের চা-
আদা চা:
পেটের যেকোনো সমস্যায় আদার ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে কাঁচা আদাও চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। আদা চা খাওয়ার প্রচলন আমাদের মধ্যে যথেষ্ট রয়েছে। শুধু সর্দি-কাশিতে নয়, আদা চা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করার জন্যও উপকারী।
হলুদ চা:
হজমসংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায়ই হলুদ চা অত্যন্ত উপকারী। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বদহজম ও পেট ফাঁপায় মুক্তি দিতে সহায়ক। হলুদ চায়ের মধ্যে এক চিমটে গোলমরিচ গুড়ো যোগ করে নিলে আরও বেশি উপকার পাবেন।
পুদিনা চা:
আমাদের পেট ঠান্ডা রাখতে পুদিনা পাতা বেশ সহায়ক। যেকোনো রকম হজমের সমস্যায় পুদিনা পাতা অত্যন্ত উপকারী। পুদিনা চা পেট থেকে গ্যাস বের করে দিয়ে স্বস্তি দেয়।
ক্যামোমিল চা:
গ্যাস, বদহজম, ডায়েরিয়া, বমিভাবের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই আয়ুর্বেদিক ওষুধে ক্যামোমিলের ব্যবহার রয়েছে। এই ফুলের রস পেটব্যাথা ও হজমের সমস্যায় অত্যন্ত উপকারী। চায়ের মধ্যে ক্যামোমিল মেশালে তা পেট থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের করে দেবে।
মৌরি চা:
হজমক্ষমতা ভালো রাখতে মৌরির ব্যবহার বেশ পুরোনো। একারই অনেকে খাওয়ার পরে মৌরি চিবিয়ে খান। কারণ মৌরির মধ্যে থাকা উপাদান হজমে সহায়ক। মৌরি চা পেটে জমে থাকা গ্যাস বের করে দিতে সাহায্য করে।