মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ জুন ২০২৫ ২০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেঘাচ্ছন্ন আকাশ হালকা বৃষ্টি, ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী ঝড়


প্রকাশের সময় :২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ ৪:৩৯ : অপরাহ্ণ

নিউজ-ডেস্ক:

দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। শুরু হয়েছে কালবৈশাখীর মৌসুম। প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাত সঙ্গে নিয়ে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে কালবৈশাখী। আজ বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকেই কোথাও কোথাও বৃষ্টির ছিটেফোঁটারও দেখা মিলেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এ বৃষ্টিবলয় দেশজুড়ে বিস্তার লাভ করতে পারে। তার ভেতরেই যেকোনও সময় আঘাত হানতে পারে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখী ঝড়।

আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে কোথাও কোথাও ঝড়েছে কয়েকফোঁটা বৃষ্টিবিন্দু। আবহাওয়া অধিদপ্তর বছরের প্রথম তিন মাসের (জানুয়ারি-মার্চ) আবহাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তাতে মার্চ মাসেই তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠতে পারে বলে আভাস দিয়েছে। তার সঙ্গে একই সময়ে হবে প্রবল বজ্রঝড়। চলতি ফেব্রুয়ারির বাকি কয়েকদিনে দিন ও রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে। এ সময়ে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুইদিন বজ্রঝড় হতে পারে।

মার্চে সামগ্রিকভাবে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দু’দিন মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী কিংবা বজ্রঝড় এবং অন্যত্র দুই থেকে তিনদিন হালকা থেকে মাঝারি কালবৈশাখী কিংবা বজ্রঝড় হতে পারে। এছাড়া মার্চ মাসের দিনের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে বেড়ে প্রায় ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। তবে দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। পতেঙ্গা প্রধান আবহাওয়া কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল জানান, বুধবার আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সাথে ভোরে নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা বিরাজ করেছে। এছাড়া দুই-এক জায়গায় হালকা বা গুড়িগুড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, প্রকৃতিতে এখন চলছে কালবৈশাখীর প্রাক-প্রস্তুতি পর্ব। আবহাওয়ার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। শীতের বিদায়ের পর ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসে বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, সমগ্র পূর্ব এবং উত্তরপূর্ব ভারতে যে ঝড় বয়ে যায় তা-ই কালবৈশাখী। বাংলা বর্ষের শুরুতে বৈশাখ মাসে এ ঝড় তুলনামূলকভাবে বেশি হয় বলেই এটি কালবৈশাখী নামে পরিচিতি লাভ করেছে। কালবৈশাখী শুধু বৈশাখ মাসেই (১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত) দেখা যাবে-এমনটি নয়। কালবৈশাখী ও সাধারণ ঝড়ের মধ্যে পার্থক্য বিচার করার কিছু মাপকাঠি রয়েছে। বলা যায়, ঝড়ের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি এবং স্থায়ীত্ব অন্তত ১ মিনিট হলে সেটাই কালবৈশাখী ঝড়।

ট্যাগ :