জানে আলম জনি:
স্বাস্থ্যকর উপায়ে ডিম- নাশতায় ওমলেট বা ডিম ভাজি অনেকের প্রিয় খাবার। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ার তাড়াহুড়ায় নাশতায় কিংবা মুখের স্বাদে ভিন্নতা আনতে পাতে থাকে ডিম ভাজি বা পোচ। অনেকে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েও ফরমাশ দিয়ে বসেন ওমলেটের। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালের নাশতায় ডিম প্রতিদিনের পর্যাপ্ত ক্যালরি গ্রহণ নিশ্চিত করে। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা বলেন, সকালের নাশতা হিসেবে একটি ডিম খেলে দুপুরে ক্ষুধা কম হয়। আর এই অভ্যাস গড়ে তুললে তা ওজন কমাতে সহায়তা করে।
সারা বিশ্বেই সকালের সেরা নাশতা হিসেবে ডিম খাওয়া হয়। সকালের এই দারুণ নাশতার সঙ্গে আরও পুষ্টি যুক্ত করতে পারেন। এতে অস্বাস্থ্যকর ক্যালরি গ্রহণ থেকে শরীর রক্ষা পাবে। ওমলেটে কী যুক্ত করবেন বা করবেন না, তার কোনো বাধাধরা নিয়ম নেই। তবে সকালের ডিম ভাজি করার সময় কিছু জিনিস যুক্ত করলে তা যেমন স্বাস্থ্যকর হয়, তেমনি কম ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ করতে সাহায্য করে।
১. সবজি
সকালের নাশতার জন্য তৈরি ডিম ভাজিতে বেশি ভিটামিন ও খনিজ যুক্ত করার উপায় হলো এতে সবজি যুক্ত করা। ডিমের মধ্যে গাজর, ব্রোকলি বা পালং শাক যুক্ত করতে পারেন। এতে ডিম ভাজির পুষ্টিগুণ বেড়ে যাবে এবং পেট ভরা থাকবে। বাড়তি খাবার গ্রহণ কমাবে। সরাসরি ডিমে সবজি যুক্ত করতে পারেন বা এসব সবজির মধ্যে ডিম যুক্ত করে খেতে পারেন।
২. মাশরুম
যাঁরা ওজন কমাতে চান, তাঁরা ডিমে প্রোটিন যুক্ত করে খেতে পারেন। এতে আলাদা করে প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন হবে না। প্রোটিন হিসেবে ডিম ওমলেটের সঙ্গে সাদা মাশরুম যুক্ত করলে শক্তিশালী প্রোটিন পাওয়া যায়। এতে ডিম ভাজির স্বাদ ও গন্ধ বাড়ে।
৩. স্বাস্থ্যকর তেল
ডিম ভাজি করার জন্য প্রক্রিয়াজাত করা সবজির তেল বা মাখন দিয়ে ডিম ভাজার চেয়ে স্বাস্থ্যকর চর্বি হিসেবে পরিচিত নারকেল তেল, সরিষার তেল বা অলিভ ওয়েলে তা ভাজতে পারেন। এতে ওমলেটে অস্বাস্থ্যকর চর্বি বাদ পড়ে। যদি ডিম ভাজতে মাখন ব্যবহার করতেই হয়, তবে তার পরিমাণ যতটা কম হয় ততই ভালো। প্রতিটি ডিম ভাজির জন্য এক চা-চামচ মাখনই যথেষ্ট।
৪. মাংস ও পনির
সব ধরনের পনির অবশ্য খারাপ নয়। প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের উৎস হতে পারে পনির। তবে প্রক্রিয়াজাত করা পনিরের চেয়ে এর স্বাস্থ্যকর বিকল্প ব্যবহার করা ভালো। একই রকমভাবে লাল মাংসের পরিবর্তে সেদ্ধ করা মুরগির মাংস যুক্ত করা যেতে পারে।
৫. ফেটানো
ডিম ভাজির আগে তা ফেটানোর বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। মরিচ ও জিরা সঠিক উপাদানে যুক্ত করলে শরীরের হজমপ্রক্রিয়া সক্রিয়ভাবে কাজ শুরু করে। ডিম ভাজি আরও পুষ্টিকর করতে এতে সিয়া বীজ ও তিসি যুক্ত করতে পারেন।