এম.এইচ মুরাদঃ
প্রবিত্র রমজান মাসের প্রথম দিনেই বেগুন, মরিচ, ক্ষিরার, ধনে পাতার দাম বেড়েছে। রমজানে মাসে বেগুন, কাঁচামরিচ, ক্ষিরা, লেবু, ধনেপাতা, পুদিনা ইত্যাদির বাড়তি চাহিদা থাকে। বাড়তি চাহিদাকেই পুঁজি করেছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসের প্রথম দিনেই বাড়িয়ে দিয়েছে এসব পণ্য সামগ্রীর দাম।
নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কয়েক দিনের ব্যবধানেই কেজি প্রতি বেগুনের দাম বেড়েছে ৬০ টাকা। কেজি প্রতি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। ২০ টাকার মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, ১০ টাকার ক্ষিরা কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। গাজর প্রতিকেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেবু বিক্রি হচ্ছে জোড়াপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
বিক্রেতারা বলছেন, করোনায় পণ্য পরিবহন সংকটের কারণে কাঁচামালামালের দাম বেড়েছে। যা পুষিয়ে নিতেই চড়া পাইকারি বাজার। ফলে রোজার প্রথম দিন থেকে বাজার চড়া।
একাধিক ক্রেতা অভিযোগ করেন, ব্যবসায়ীরা করোনাকেও হার মানিয়েছে। শুধু বেশি লাভ করতে পারলে চলে এমন অবস্থা বিরাজ করছে সবজি বাজার গুলোতে। লকডাউনের পর থেকে মোটামুটিভাবে সবাই অচল। কাঁচামালামালসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিলো। কিন্তু দিনের ব্যবধানে পণ্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। একেত আয়ের পথে বন্ধ, অন্যদিকে নিত্যপণ্যের চড়া দাম।
সবমিলিয়ে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমনে নয়, সুবিধালোভী ব্যবসায়ীদের রাজত্বে রমজান মাসে না খেয়ে মরতে হতে পারে-এমন মন্তব্য করছেন অনেক ক্রেতা।
চকবাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা মোহাম্মদ ফোরকান একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, রমজান মাস এলেই বাড়তি চাহিদা তৈরি হয় বেগুন, কাঁচা মরিচ, শসা ও লেবুর। সরবরাহে ঘাটতি যদি নাও থাকে তবু প্রতিবছরই এই পণ্যগুলোর দাম বেড়ে যায়। এই বছরে নতুন অজুহাত তৈরি হয়েছে করোনা।
রিয়াজুদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতা ফয়েজ হক একাত্তর বাংলা নিউজকে বলেন, একদিন আগেও কাঁচামালসহ শাকসবজির দাম কম ছিলো। বেগুনের কেজি ছিল ১৫-২০ টাকা আর আজকে সকালে আমাদের আড়ত থেকে কিনতে হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা। কাচা মরিচ ছিল কেজি ১০-১৫ টাকা আর আজকে ৩০-৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আজ থেকে মাহে রমজান শুরু তাই বাজারে ক্রেতা বেশি দামও তাই বেশি।
সাধারণ মানুষ এবং ক্রেতা সাধারণের দাবি বাজারের অস্বাভাবিক এই উর্দ্ধমূখী সবজি এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রসাশনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বাজার মনিটরিং করা দরকার।