স্টাফ রিপোর্টার:
সংকটে থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংককে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে চলতি হিসাবের টাকার ঘাটতি পূরণ করতে বলেছে বাংলাদেশে ব্যাংক। না হলে ইসলামি পাঁচ ব্যাংকের লেনদেন কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত শুক্রবার গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক এব্যাপারে বলেন, ‘গণমাধ্যমে ইসলামী পাঁচটি ব্যাংকের যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এমন কোন সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে হয়নি। ক্লিয়ারিং হাউজ বা নিকাশ ঘর বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ হতে তত্ত্বাবধান হয়ে থাকে। কিন্তু পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ হতে এধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি ।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে ব্যাংকসমূহের চলতি হিসাবে ক্লিয়ারিং সেটেলমেন্ট ছাড়াও অন্যান্য সকল ধরণের লেনদেন যেমন , সরকারী সিকিউরিটিজ, কলমানি ইত্যাদি লেনদেন সম্পন্ন হয় । ফলে যে কোন সময় তা ঋণাত্মক স্থিতি তৈরী করতে পারে এবং সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ম্যানুয়াল ১৯৪৫ এ বর্ণিত নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলো অন্য উৎস হতে অর্থ সংগ্রহ করে তা সমন্বয় করে থাকে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া যা বহুদিন যাবতই অনুসৃত হয়ে আসছে ।’
মেজবাউল হক বলেন, ঋণাত্মক স্থিতি সৃষ্টি হলে মতিঝিল অফিস বা হিসাব সংরক্ষণকারী অফিস বাংলাদেশ ম্যানুয়ালের ধারা অনুযায়ী পত্র মারফত তা পূরণের জন্য ব্যাংককে নির্দেশনা দিবে। ব্যাংক অন্যান্য উৎস যা কলমানি, ধার, রেপো, এলএস, ইত্যাদি থেকে টাকা যোগাড় করে তা সমন্বয় করে থাকে। হাউস থেকে বিরত রাখা মতিঝিল অফিস এর আওতাভূক্ত নয় । তা পেমেন্ট সিস্টেমস এর আওতাভুক্ত।’
শুক্রবার গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চলতি হিসাব গত এক বছর ধরে অর্থের ঘাটতিতে আছে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থের ঘাটতি সমন্বয় করতে ব্যর্থ হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ব্যাংকগুলোকে সব ধরনের বা নির্দিষ্ট ক্লিয়ারিং প্লাটফর্মের লেনদেন থেকে নিষিদ্ধ করা হবে বলে সংবাদ প্রকাশতি হয়। এতে ব্যাংকের আমানতকারীদের মধ্যে বড় এক ধরনের আতঙ্ক শুরু হয়।