নিউজ-ডেস্ক:
ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদ আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার রাত ৮টা ২৮ মিনিটে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ব্র্যাকের চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান খবরটি নিশ্চিত করেন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে এবং তিন নাতি-নাতনি রেখে গেছেন।
আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তার মরদেহ ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। দুপুর সাড় ১২টায় আর্মি স্টেডিয়ামেই নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। জানাজার পর ঢাকার বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
অসুস্থ বোধ করায় সম্প্রতি ফজলে হাসান আবেদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার জন্ম ১৯৩৬ সালে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক প্রতিষ্ঠা করেন। তখন তার বয়স ছিল ৩৬ বছর। ২০০১ সাল পর্যন্ত তিনি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তার বয়স ৬৫ হয়ে গেলে তিনি নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। এরপর ব্র্যাকের চেয়ারপারসন হিসেবে কর্মরত ছিলেন আরও ১৮ বছর। কয়েক মাস আগে সে পদটিও ছেড়ে দিয়ে অবসরে যান এই মানবদরদি গুণী ব্যক্তি।
ব্র্যাককে বলা হয় মুক্তিযুদ্ধের ফসল। ১৯৭১ সালে দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন ফজলে হাসান আবেদ। পরে বিদেশের উচ্চ বেতনের চাকরির মোহ ত্যাগ করে দেশেই স্থায়ী হন। যুদ্ধ-উত্তর বাংলাদেশ পুনর্গঠনে ব্র্যাক সৃষ্টি করেন।
বেসরকারি এ সংস্থার নানামুখী কার্যক্রম দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও ছড়িয়ে রয়েছে বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোতেও। ব্র্যাক এবং ফজলে হাসান আবেদ হয়ে উঠেছিল সমার্থক শব্দ। তার মৃত্যুতে জাতি হারাল অকৃত্রিম এক দেশপ্রেমিককে। প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক হারিয়েছে সবচেয়ে বড় অভিভাবককে।