স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাধারণ ছুটি চলাকালীন সময়ে কোনো ব্যাংক কর্মী ১০ দিনের বেশি ব্যাংকে উপস্থিত থাকলেও প্রণোদনা ভাতা হিসেবে অতিরিক্ত বেতন পাবেন না। পাবেন শুধু এক মাসের বেতন।
তবে ব্যাংকের প্রয়োজনে ১০ দিনের বেশি উপস্থিত থাকলে নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী অতিরিক্ত যাতায়াত ব্যয় পরিশোধ করবে ব্যাংক।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘ছুটিকালীন ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ ১০ দিন স্বশরীরে ব্যাংকে কর্মরত থাকলে তা পূর্ণ মাস হিসেবে গণ্য হবে। কেউ ১০ কার্যদিবসের কম উপস্থিত থাকলে আনুপাতিক হারে ভাতা প্রাপ্য হবেন।’
‘‘তবে ১০ দিনের বেশি উপস্থিত থাকলেও অতিরিক্ত ভাতা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত দিনগুলোতে ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী যাতায়াত ব্যয় পরিশোধ করবে ব্যাংকগুলো।’’
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রণোদনা ঘোষণার পর সব ব্যাংকের শাখাগুলোয় কর্মকর্তাদের ব্যাপকহারে উপস্থিতি বেড়ে গেছে। বিশেষ করে উঁচু পর্যায়ের যেমন- ডিজিএম, এজিএম পর্যায়ের প্রায় সবাই অফিস করা শুরু করেন।
জানা গেছে, শাখা পর্যায়ে হাতে লেখা হাজিরা খাতায় অনেকে একদিন এসেই বাকি দিনের স্বাক্ষর করে রেখেছেন। এখন ব্যাংকে উপস্থিতি দেখিয়ে প্রণোদনার অর্থ চেয়ে প্রধান কার্যালয়ে পাঠাচ্ছে শাখাগুলো।
বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরে আসার পর তা স্পষ্ট করতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এর আগে ১৩ এপ্রিল প্রণোদনা ভাতার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছিল, সাধারণ ছুটির সময় যেসব ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী স্বশরীরে অফিস করছেন তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা হিসেবে ১০ দিন অফিসে গেলেই তাদেরকে বাড়তি এক মাসের বেতন দেয়া হবে।
এতে আরো বলা হয়েছিল, সাধারণ ছুটি শুরু হওয়ার তারিখ হতে মাস গণনা শুরু হবে। প্রতি ৩০ দিন অতিক্রান্ত হওয়ার পর পুণরায় নতুন মাস গণনা শুরু হবে। এ নির্দেশনা সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়াদকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।