স্টাফ রিপোর্টার:
বাবিউবোর সব গ্রাহককে ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুইটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্ব এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সচিব জানান, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মধ্যে বাবিউবোর সকল গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাওয়ার ইক্যুইপমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড থেকে ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সটলেশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব স্মার্ট প্রিপ্রেমেন্ট মিটারস উইথ পিএলসি মডিউল অ্যান্ড থ্রি ইয়ার্স অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস ক্রয় কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
এই ক্রয় কাজের আওতায় ৪০ হাজারটি সিঙ্গেল ফেজ মিটার, ৩২৫টি ডাটা কানেক্টর ইউনিট ক্রয় ও স্থাপন, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটার প্রতিস্থাপন এবং ৩ বছরের অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস নেওয়া হবে। এ পর্যন্ত বাবিউবোর ৫৭.৯৬ শতাংশ গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাবিউবোর সব গ্রাহককে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্মার্ট ইলেক্ট্রিক্যাল কো. লি. থেকে ডিজাইন, সাপ্লাই, ইন্সস্টল্যাশন, টেস্টিং অ্যান্ড কমিশনিং অব স্মার্ট প্রিপ্রেমেন্ট মিটারস উইথ পিএলসি মডিউল অ্যান্ড থ্রি ইয়ার্স অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস ক্রয় কাজটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
ওই ক্রয় কাজের আওতায় ৪০ হাজারটি সিঙ্গেল ফেজ মিটার, ৩২৫টি ডিইউসি ক্রয় ও স্থাপন, বিদ্যমান পোস্টপেইড মিটার প্রতিস্থাপন এবং ৩ বছরের অপারেশনাল সাপোর্ট সার্ভিস নেওয়া হবে।
সচিব আরও জানান, সভায় হবিগঞ্জের বিবিয়ানা দক্ষিণ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘সাপ্লাই অব স্পেয়ার্স, কনজিউঅ্যাবলস অ্যান্ড শিডিউল মেইনটেন্যান্স ওয়ার্কস ফর ৬ ইয়ার্স’ কার্যটি সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করে। ২০২৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ হাজার ৬৯৫ ঘণ্টা রানিং আওয়ার অতিক্রম করেছে। ২০২৩ সালের ২৭ জানুয়ারি তারিখ ইপিসি ঠিকাদারের ওয়ারেন্টি পিরিয়ড শেষ হয়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য শিডিউল মেইনটেন্যান্স করা প্রয়োজন।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিভিন্ন মালামালের মূল প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান জার্মানির সিমেন্স কোম্পানি। তাই রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে বিবিয়ানা দক্ষিণ ৪০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে ব্যয় হতে পারে ৬৪৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯৬ হাজার ৭৪ টাকা।