মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লাগামছাড়া ফোন ব্যবহারে হতে পারে বড় ধরনের পাঁচ ক্ষতি


প্রকাশের সময় :৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ৯:১৬ : পূর্বাহ্ণ

সানজিদা নূর:

স্মার্টফোন ছাড়া একটা মুহূর্ত না চললেও এর ব্যবহারে লাগাম টানতে না পারলে পড়ে যাবেন গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। একটানা স্ক্রলিং করলে ঘাড়ে ব্যথা থেকে শুরু করে শুকিয়ে আসতে পারে চোখ। ক্ষতি যে শুধু শরীরের হবে তা নয়, মনের বারোটা বাজাতেও জুড়ি নেই ফোনের। স্মার্টফোনটাকে সময়ে সময়ে কেন হাত থেকে দূরে রাখতে হবে তার কারণগুলো জেনে নিন-

চোখের ক্ষতি:

স্মার্টফোন ব্যবহার না কমালে এর নীলচে আলো চোখের ক্ষতি করবেই। ফোনের স্ক্রিন চোখের ফটোরিসেপ্টরের ক্ষতি করে। সেইসঙ্গে ডেকে আনতে পারে মাইগ্রেন, ঝাপসা দৃষ্টি এবং এমনকি শুষ্ক চোখ তথা ড্রাই আই সমস্যা। যদি এমন উপসর্গ দেখা দেয় তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি ফোন থেকেও দূরে থাকুন কিছু সময়।

কব্জির সমস্যা:

গবেষণায় দেখা গেছে কার্পাল টানেল (কবজির স্নায়ুর রোগ) এবং কবজিতে ব্যথা- দুটোই এখন কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বাড়ছে। দিনে ৫-৬ ঘণ্টা ফোন ব্যবহার করলে হাতে ব্যথা, অসাড়তা এবং সূঁচ ফোটার মতো অনুভূতি হতে পারে। যদি এ ধরনের উপসর্গ অনুভব করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং ফোন ব্যবহার কমিয়ে আনুন। পিঠ ও ঘাড়ের ব্যথার জন্যও দায়ী হতে পারে স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার।

ত্বকের ক্ষতি:

গবেষণায় দেখা গেছে, স্মার্টফোন বিভিন্ন ধরনের জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়ার আবাসস্থল। এগুলো ফোন থেকে খুব সহজে ত্বকে চলে আসতে পারে। এতে অন্য স্বাস্থ্য সমস্যাও হতে পারে। যখন ফোন কানের কাছে ধরবেন, তখনই ফোন থেকে জীবাণু চলে যাবে ত্বকে। এতে ত্বকে দাগ ও ব্রণ দেখা দিতে পারে। আবার বেশি সময় কথা বললে ঘামের সঙ্গে জীবাণু ঢুকে পড়তে পারে কানেও। এ ঝুঁকি কমাতে অ্যালকোহল ওয়াইপ দিয়ে ফোন নিয়মিত পরিষ্কার করুন।

ঘুম নষ্ট:

নিয়মিত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম খুব জরুরি। কিন্তু রাতে অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে অনেকের ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। স্মার্টফোনের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করুন। এমন অনিয়মের ঘুমের কারণে মেজাজ হবে খিটখিটে এবং ক্ষুধা না পেলেও খেতে ইচ্ছে করবে আপনার।

মানসিক চাপ:

স্মার্টফোন আপনাকে দুটি উপায়ে স্ট্রেস তথা মানসিক চাপের দিকে ঠেলে দিতে পারে। প্রথমত অনিদ্রা ও দ্বিতীয়ত ইন্টারনেট থেকে অতিরিক্ত তথ্য গ্রহণ। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল বা ইন্টারনেটে স্ক্রল করলে কর্টিসল নিঃসরেণের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আবার অন্যদের ভালো ভালো পোস্ট দেখে নিজের ভেতর তৈরি হতে পারে বিষণ্নতা।

স্মার্টফোন রেখে সারাদিনের জন্য দূরে থাকা যেহেতু সম্ভব নয়, তাই মেনে চলুন নিয়মগুলো-

🧉খাওয়ার সময় ফোন দেখবেন না।
🧉সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকের নোটিফিকেশন চেক করতে যাবেন না।
🧉ফোন হাতে নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না।
🧉ঘুমানোর কমপক্ষে ৩ ঘণ্টা আগে সেলফোন ব্যবহার বন্ধ করুন।

ট্যাগ :