নিউজ ডেস্কঃ
করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে এপ্রিলের শুরুতে বরফে ঢাকা উত্তর মেরুর আকাশে ওজন স্তরে ১০ লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল গর্ত তৈরির কথা জানা যায়। এ নিয়ে ভয়াবহ আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা। এটি দক্ষিণের দিকে মোড় নিলে সরাসরি হুমকির মুখে পড়তো পৃথিবীবাসী।
সম্প্রতি ইইউর পক্ষ থেকে কপারনিকাস অ্যাটমসফিয়ার মনিটরিং সার্ভিস (সিএএমএস) ও কপারনিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সি৩এস) নিশ্চিত করেছে যে, নিজের ক্ষত নিজেই সারিয়ে তুলেছে পৃথিবী।
ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর মেরুর আর্কটিক অঞ্চলের আকাশে বায়ুমণ্ডলের তাপমাত্রা হঠাৎ কমে যাওয়ায় সেখানকার পোলার ভর্টেক্স বা মেরু ঘূর্ণাবর্ত অনেকটাই স্থিতিশীল হয়ে পড়ে। সেইসঙ্গে অঞ্চলটিতে বায়ুমণ্ডলে ক্লোরিন ও ব্রোমাইনের মতো বিষাক্ত কেমিক্যালের উপস্থিতিও বেড়ে যায়, যা ওজন স্তরকে নষ্ট করে দিতে সক্ষম।
তবে সিএএমএস ও সিওএস নিশ্চিত করেছে যে, আশঙ্কা সৃষ্টিকারী এ গর্তটি নিজে থেকেই মিলিয়ে গেছে। ২৩ এপ্রিল এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে তারা বায়ুমণ্ডলের নতুন কিছু ছবিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ওজন স্তরের সেরে ওঠার বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে।
সূর্য থেকে আসা আলোক রশ্মির ফলে পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়। তবে এই আলোর সঙ্গে সেখান থেকে অতি বেগুনি রশ্মিসহ আরো অনেক ক্ষতিকর পদার্থও পৃথিবীতে চলে আসে, যা মানব জাতিসহ অন্যান্য প্রাণীর জন্যও মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।