মোঃ জানে আলম জনি:
ব্যাঙ্ক জালিয়াতি এখন হামেশাই হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টাকা লেনদেনের সবথেকে সহজ উপায় হল চেকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া। কিন্তু সামান্য কিছু ভুল হলে, এক্ষেত্রেও হতে পারে বড় বিপত্তি।
আপনার টাকা বেহাত হয়ে যাচ্ছে। চেক লেখার ক্ষেত্রে এই ভুলগুলি একদমই করবেন না। যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম চেক-এ লিখতে হয়। কিন্তু সেই নাম লেখার সময়েও খুব সাবধানতা বজায় রাখা উচিত।
নাহলে নামের পরে কোনও একটি অক্ষর সহজেই বসিয়ে জালিয়াতি করে নেওয়া যাবে। জালিয়াতি থেকে বাঁচতে, যাঁকে টাকা দিচ্ছেন তাঁর নামের পাশে তাঁর অ্যাকাউন্ট নম্বরটিও যুক্ত করে দিন।
১. পেয়ি-র বা যাঁকে টাকা দেবেন তাঁর নাম লেখা হলে, তাঁর নামের পাশে একটি লাইন টেনে দিন।
২. ‘বেয়ারার চেক’ কাউকে দিলে অবশ্যই ‘বেয়ারার’ অপশনে টিক দিয়ে দিন। চেকের উপরে লিখে দিন এসি-পেয়ি। তা হলে যাঁকে চেক দিচ্ছেন, শুধু তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকেই ওই চেক ভাঙানো যাবে।
৩. চেক-এর অ্যামাউন্ট বসানোর পরে অবশ্যই ‘/-’ এই চিহ্ন দেবেন। তাতে কোনও ভাবেই অতিরিক্ত কোনও সংখ্যা বসিয়ে কেউ জালিয়াতি করতে পারবেন না। প্রতিটি সংখ্যার মধ্যে যেন কোনও ফাঁকা জায়গা না থাকে।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময়ে যে স্বাক্ষর করছেন, সেই স্বাক্ষরটিই চেক দেওয়ার সময়ে করবেন। আপনি যদি কোনও কোম্পানির হয়ে টাকা দেন, তা হলে কোম্পানির সিলের ছাপ দিয়ে দিন।
৪. চেক-এ যদি ভুল কিছু লিখে থাকেন, তা হলে সেই ভুল লেখার উপরে বা নীচে স্বাক্ষর করে দিন।
৫. বাংলাদেশ ব্যাংক এর নিয়ম অনুযায়ী, একটি চেক তিন মাসের জন্য বৈধ থাকে। তাই অবশ্যই চেক-এ তারিখ লিখুন। না হলে কেউ অনায়াসে তারিখ বসিয়ে সেই চেক ব্যবহার করতে পারবেন।
৬. অনেক সময়েই অনেক চেক বাতিল হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে চেকটি ছিঁড়ে ফেলুন। আর না হলে চেকটিতে ‘ক্যানসেলড’ লিখে দিন।