এম. এইচ মুরাদঃ
আগামীকাল ২১ জুন ২০২০ রবিবার আংশিক সূর্য গ্রহণ হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সকাল ১১ টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ আরম্ভ হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে বিকাল ২টা ৫২ মিনিটে। বাংলাদেশ এবং ভারতের সর্বত্রসহ আফ্রিকা, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া থেকে এ গ্রহণ দেখা যাবে। বিশেষজ্ঞ মহল এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সমাজের মুরব্বিদের ধারণা অনুযায়ী এ সময় গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ সতর্কতা থাকতে বলা হয়। তাই আপনার পরিচিত কেউ সন্তান সম্ভবা থাকলে তাকে অনুগ্রহ করে জানিয়ে দিন বিষয়টা। উল্লেখ্য, বহুযুগ ধরে দক্ষিণ এশিয়ার গর্ভবতী নারীরা সূর্য গ্রহণের সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে আসছেন। যাতে তাদের আগত সন্তানদের গ্রহের প্রভাবে কোন প্রকার ক্ষতি সাধন না হয়।
এবারের সূর্যগ্রহণ হবে বছরের দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ, বিজ্ঞানীরা খালি চোখে দেখতে বারণ করেছেন এ বছরের দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণকে। ঘটনাক্রমে কর্কটক্রান্তি দিবসও রোববার (২১ জুন)। মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে সারাদেশ থেকে এ আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঢাকার স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ২৩ মিনিটে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। দুপুর ১টা ১২ মিনিটে সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ পর্যায় ও দুপুর ২টা ৫২ মিনিটে গ্রহণ সমাপ্ত হবে।
বাংলাদেশে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেলেও উত্তর ভারত, পাকিস্তানের দক্ষিণ ভাগ, চীন, তাইওয়ান, মধ্য আফ্রিকা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বাংলাদেশ থেকে পরবর্তী সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ২০২২ সালের ২৫ অক্টোবর। সূর্যকে কেন্দ্র করে পৃথিবী তার নিজ কক্ষপথে ঘুরছে, একই সঙ্গে চাঁদ পৃথিবীর চারদিকে ঘুরছে। কোনো কোনো অমাবস্যায়, পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে থাকা চাঁদ একই সরল রেখায় চলে আসে।
সূর্যগ্রহনে সূর্য চন্দ্রের আড়ালে চলে যায় ও চাঁদের সঙ্কীর্ণ ছায়া তখন পৃথিবীর উপরে পড়ে। সেই ছায়া যেসব জায়গার ওপর দিয়ে যায় সেখান থেকে মনে হয় সূর্য ধীরে ধীরে ঢেকে যাচ্ছে। ছায়ার কেন্দ্র যেসব অঞ্চলে পড়বে সেখান থেকে পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যায়।
বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদ তুলনামূকভাবে পৃথিবীর কাছে থাকায় চাঁদের কৌণিক ব্যাস সূর্যের কৌণিক ব্যাস থেকে কম থাকে। ফলে পূর্ণগ্রহণ হলেও চাঁদ সূর্যকে পুরো ঢাকতে পারে না, সূর্য বলয় আকারে চাঁদের ছায়ার চারদিকে দেখা দেয়।