মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিফর্ম পরা দেখলেই ডিবি বা র‌্যাব মনে করবেন না: হারুন


প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২১ ৯:৩৪ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

র‌্যাব, পুলিশ বা ডিবির ইউনিফর্ম পরা দেখলেই তাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মনে না করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ‘ইউনিফর্ম দেখেই তাদের ডাকে সাড়া দেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাদের পরিচয় নিশ্চিত হতে প্রয়োজনে বাকবিতাণ্ডা করুণ। মানুষ জড়ো করুন। নিকস্থ থানা পুলিশ বা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিন।’

বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচয়ে মানুষকে তুলে নিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রতিরোধে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে ২৬ অক্টোবর রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মতিঝিল এলাকা থেকে ৯ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে ডিবি। এই চক্রটি ডিবি ও র‌্যাবের পরিচয় দিয়ে মানুষকে তুলে নিয়ে ছিনতাই করে নির্জন কোনও জায়গায় ফেলে রাখতো।

গ্রেফতারকৃতরা হলো—মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. ইমদাদুল শরীফ, খোকন, মাসুদুর রহমান তুহিন, মো. মামুন শিকদার, মো. কমল হোসেন, মো. ওয়াহিদুল ইসলাম, ফারুক ব্যাপারী ও মো. মতিউর রহমান।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ওয়াকিটকি, একটি পিস্তল, একজোড়া হাতকড়া, ট্রাভেল ব্যাগ, দুটি তিনি জ্যাকেট, চারটি নতুন গামছা, একটি সিলভার রঙের প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘ঢাকা মহানগরী এবং আশপাশের এলাকায় প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাসে ভুয়া র‌্যাব-ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে যাওয়া অথবা ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনকারী ব্যক্তিদের জোরপূর্বক মাইক্রোবাসে তুলে নেয় চক্রটি। এর পর সাভারের আশুলিয়া, কখনও বেড়িবাঁধ, কখনও নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা অথবা ভিকটিমদের ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে হাতিয়ে নেয়।’

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় ডাকাতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি পৃথক মামলা হয়েছে।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভুক্তোভোগীরা মামলা করতে চান না। অনেকে পুলিশকে জানান না। যে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছি, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মামলা পেয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ছিনতাইয়ের কবলে পড়লে আপনার থানায় জানান। থানায় না গেলে আমাদের কাছে আসুন। আমরা আপনাদের অভিযোগ নেবো।’

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘চক্রটির বেশিরভাগ ঢাকার বাইরের সদস্য। তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে কাজ করে আবার চলে যায়। তারা কাঁচপুর থেকে মেঘনা পর্যন্ত সড়কটি ব্যবহার করে।’

নাগরিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেককে সাহসের সঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলে আমরা অপরাধ চক্রকে ধরতে পারবো।’

ট্যাগ :