স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনা সংক্রমণ বেড়েনামাজে অংশ নিতে পারবেন ইমামসহ সর্বোচ্চ ২০ জন যাওয়ায় মসজিদে অনুষ্ঠিত তারাবি এবং পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে অংশ নিতে পারবেন ইমামসহ সর্বোচ্চ ২০ জন।
সোমবার (১২ এপ্রিল) এ নির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এর মধ্যে তারাবি ও ওয়াক্তের নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন। আর জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নিতে হবে।
পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করারও অনুরোধ রয়েছে নির্দেশনায়।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এর আগে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। করোনা প্রতিরোধে কঠোরবিধি নিষেধ আরোপ করে দেয়া হয়েছে ১৩ দফা নির্দেশনা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বুধবার ভোর ৬টা থেকে সকল সরকারি, বেসরকারি অফিস ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। এদিকে, খাবার দোকান দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা ও রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এই সময়ে কেউ রেস্তোরাঁয় বসে খেতে পারবেন না। খাবার প্যাকেট করে বাসায় নিয়ে যেতে হবে।
বন্ধ থাকবে শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল বন্ধ থাকবে সব সরকারি বেসরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। চলবে না কোন বাস-ট্রেন-লঞ্চ। বন্ধ থাকবে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে শিল্প কারখানা।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান জানান, গার্মেন্টস ও কল কারাখানায় শ্রমিক পরিবহন ও স্বাস্থ্যবিধি কতটা মানা হচ্ছে তা তদারকি করবে মন্ত্রণালয়। কঠোর বিধিনিষেধের সময় অতিপ্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।