মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পবিত্র মহররম মাসের আশুরার দিনে যা হয়েছিল


প্রকাশের সময় :১৭ জুলাই, ২০২৪ ১:১২ : অপরাহ্ণ

মাওলানা ইলিয়াস হোসেন:

আরবি ‘আশারা’ শব্দ থেকে আশুরা শব্দটি এসেছে। আশারা অর্থ দশ, আর আশুরা মানে দশম। ইসলামী পরিভাষায় আরবি বর্ষপঞ্জি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলে। এছাড়াও এ মাসের ১০ তারিখে ১০টি বড় বড় ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, সে কারণেও মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়।

মহান আল্লাহ তাআলা সমগ্র পৃথিবী তৈরির পর থেকে আশুরার দিনে বহু তাৎপর্যমণ্ডিত ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ফলে আশুরার দিনের গুরুত্ব, মর্যাদা ও মাহাত্ম্য অনেক বেশি। এসব ঘটনা ও শরিয়তের আরও অন্যান্য কারণে মহররম মাসও বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

মহররমের ১০ তারিখ বা আশুরার দিনে মাহাত্ম্যপূর্ণ ও তাৎপর্যময় যা কিছু হয়েছিল, সেগুলো পাঠকদের জানার সুবিধার্থে এখানে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।

এক. আল্লাহ তাআলা এ দিন পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। তার ইচ্ছায় এ দিনেই কিয়ামত ঘটবে।

দুই. মহান আল্লাহ আদিপিতা আদম (আ.)-কে এই দিন জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠান। আবার এই দিন আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-এর দোয়া কবুল করেন। এছাড়াও এ দিনেই সমগ্র মানবজাতির মা ও আদম (আ.)-এর স্ত্রী হাওয়া (আ.)-এর সঙ্গে আরাফার ময়দানে পৃথিবীতে প্রথম সাক্ষাৎ হয়।

তিন. আল্লাহর নবী নুহ (আ.)-এর জাতির লোকেরা আল্লাহর নাফরমানি করেছিল। বারবার সতর্ক করার পরও তারা আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায়, আল্লাহর শাস্তি মহাপ্লাবনে নিপতিত হয়। দীর্ঘ প্লাবন শেষে মহররমের ১০ তারিখে তিনি নৌকা থেকে ঈমানদারদের নিয়ে পৃথিবীতে নেমে আসেন।

চার. আল্লাহর প্রিয়নবী ইবরাহিম (আ.)-কে নমরুদ অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষেপ করেছিল। তিনি অগ্নিকুণ্ডে ৪০ দিন থাকার পর মহররমের ১০ তারিখ মুক্তি লাভ করেন।

পাঁচ. আমরা অনেকেই জানি আল্লাহর নবী আইয়ুব (আ.) ১৮ বছর কঠিন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি এই দিনে মহান আল্লাহর রহমতের পূর্ণ সুস্থতা ও সুস্বাস্থ্য লাভ করেন।

ছয়. হজরত ইউসুফ (আ.)-এর ঘটনা সবার কাছে বিখ্যাত। তিনি ইয়াকুব (আ.)-এর পুত্র ছিলেন। তার ১২ জন ভাই ছিল। কিন্তু ১১ ভাই ষড়যন্ত্র করে তাকে কূপে ফেলে দেয়। তবে মহান আল্লাহর অনুগ্রহে এক বণিক দল তাকে উদ্ধার করে। এরপর মিসরে গিয়ে দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর পদ লাভ করেন। এরপর ১০ মহররম দীর্ঘ ৪০ বছর পর তিনি পিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

সাত. আল্লাহর আরেক নবী হজরত ইউনুস (আ.)। তিনি জাতির লোকদের প্রতি হতাশ হয়ে পড়েন। এরপর নদী অতিক্রম করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে চান। পথিমধ্যে মাঝ নদীতে পতিত হন। আর তখন তাকে একটি বড় মাছ গিলে ফেলে। মাছের পেটে তিনি ৪০ দিন ছিলেন। এরপর ১০ মহররম আল্লাহর রহমতে মাছ তাকে নদীর তীরে ফেলে দেয় এবং তিনি মুক্তি লাভ করেন।

আট. বনি ইসরাইলের নবী হজরত মুসা (আ.)। তিনি ফেরাউনের জুলুম থেকে বাঁচতে সঙ্গী-সাথীসহসহ অন্যত্র চলে যান। নীল নদ পার হয়ে নিরাপদে পৌঁছে যান। আর ফেরাউন তার দলবলসহ নদীরে পানিতে ডুবে মারা যায়।

নয়. ঈসা (আ.)-কে তার জাতির লোকেরা হত্যা করার চেষ্টা করে। ফলে মহররমের ১০ তারিখ মহান আল্লাহ তাকে আসমানে উঠিয়ে নেন।

দশ. কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা। মহররম মাসের ১০ তারিখে এই মর্মন্তুদ দুঃখের অবতারণা হয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে আল্লাহর নবী (সা.)-এর প্রি নাতি হোসাইন (রা.) কারবালা প্রান্তরে শাহাদাত বরণ করেন।

ট্যাগ :