মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুই বছর পর রথের রশি টানলেন চট্টগ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা


প্রকাশের সময় :১ জুলাই, ২০২২ ২:৫৩ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদঃ

মহামারি করোনার দুই বছর পর চট্টগ্রাম নগরের রাস্তায় নেমেছে রথ। তাই রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে এবার মহা আনন্দে সনাতন ধর্মাবলম্বীর মানুষ।

শুক্রবার (১ জুলাই) আষাঢ়ের রথদ্বিতীয়া তিথিতে বিকাল সাড়ে ৩টার পর রথে চড়িয়ে ত্রিদেবতা শ্রী জগন্নাথ দেব, বোন সুভদ্রা রাণী ও ভাই বলরামকে নিয়ে বের হয়েছে কয়েক হাজার ভক্ত। রথে করে আজ মাসির বাড়ি যাবেন তারা। দূরদূরান্ত থেকে ভিড় জমিয়েছেন বহু পুণ্যার্থী।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই রথযাত্রা উৎসব উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন। প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি রঞ্জন প্রসাদ দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামদাশ ধরের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন অধ্যাপক প্রণব মিত্র চৌধুরী, কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী, শৈবাল দাশ সুমন, পুলক খাস্তগীর ও রুমকী সেনগুপ্ত, অনুপ বিশ্বাস, মো. সাহাবউদ্দিন। সংবর্ধিত অতিথি ছিলেন ডা. বিনয় পাল।

রথযাত্রা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতীয় সহকারী হাই-কমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, দুইশ বছরের প্রাচীন নন্দনকানন রথের পুকুর পাড় তুলসীধামের কেন্দ্রীয় রথযাত্রায় মানুষের মিলনমেলা দেখে আমি অভিভূত। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের আত্মার সম্পর্ক। ভূ-তাত্ত্বিক সীমানা আত্মার সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে না। বাংলাদেশ ভারতের সম্পর্ক কখনও ছিন্ন হবে না। সব ধর্ম-বর্ণের মানুষকে সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।

এসময় অতিথিদের কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। অতিথিরা তপোবন রথযাত্রা সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন। তুলসীধামে রথযাত্রা উপলক্ষে দিনব্যাপী আয়োজন করা হয় নামযজ্ঞ,মদনমোহন পূজা, জগন্নাথ-সুভদ্রা-বলভদ্রের পূজা, বিতরণ করা হয় মহাপ্রসাদ।

রথযাত্রা উৎসবে ইসকনের প্রবর্তক শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছিল বিভিন্ন অনুষ্ঠান। বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। পরে শ্রীপাদ লীলারাজ গৌর দাস ব্রহ্মচারীর নেতৃত্বে গোলপাহাড় মোড় থেকে রথ পরিক্রমা শুরু হয়।

এইবারের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় রথযাত্রা উৎসব উদযাপন কমিটির উদ্যোগে নগরের নন্দনকানন রথের পুকুর পাড় এলাকা থেকে শুরু হয় রথযাত্রা উৎসব। সুসজ্জিত রথযাত্রাটি ডিসি হিল থেকে শুরু হয়ে চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা, বক্সিরহাট, লালদীঘির পাড়, কোতোয়ালীর মোড়, নিউমার্কেট, আমতলা, বোস ব্রাদার্স হয়ে শেষ হবে নন্দনকানন শ্রী শ্রী গৌর নিতাই আশ্রমে। অন্যদিকে প্রবর্তক ইস্কন মন্দির থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শেষ হবে সিনেমা প্যালেস মোড়ে। ফিরতি রথ অনুষ্ঠিত হবে ৮ জুলাই।

চট্টগ্রামে ১৮শ খৃষ্টাব্দের পর প্রচলন শুরু হয় রথযাত্রা উৎসবের। শহরের নন্দনকাননে রথের পুকুর পাড় এলাকায় আষাঢ়ের রথদ্বিতীয়া তিথিতে বিভিন্ন মঠ-মন্দিরের রথ ছাড়াও আশপাশের উপজেলা থেকে রথগুলো এসে জমা হতো, বসতো মেলা। পুকুরে পুণ্যস্নান করতেন সনাতন ধর্মাবলম্বীর ভক্তরা।

ট্যাগ :