মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামের জশনে জুলুসকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস’ স্বীকৃতি পেতে গিনেজে আবেদন


প্রকাশের সময় :৭ অক্টোবর, ২০২২ ৭:২২ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় জুলুস হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলতে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। জুলুস আয়োজনকারী সংস্থা আনজুমান-এর রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্ট এই আবেদন করেছে।

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে সংস্থাটির সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৯ অক্টোবর জুলুস পর্যবেক্ষণ করবে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ম্যানেজমেন্ট টিম।’

এদিকে জুলুসকে ঘিরে গত এক মাস আগে থেকেই চলছে নানা প্রস্তুতি। আয়োজকদের মতে, এবারের জশনে জুলুসে অর্ধকোটি মানুষের সমাগম ঘটবে। চট্টগ্রামের এই জুলুস হবে ৫০তম। জুলুসের অর্ধশত বর্ষকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি আয়োজন। পুরো নগরীতে এবার সাজ সাজ রব।

আয়োজন কমিটি সূত্র জানায়, আনজুমান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় এই জুলুস ৯ অক্টোবর সকাল ৮টায় চট্টগ্রামের ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হবে। জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন পাকিস্তান থেকে আগত আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্। অংশগ্রহণ করবেন আল্লামা পরী সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।

আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, জুলুস শুরুর পর বিবির হাট থেকে মুরাদপুর হয়ে মির্জারপুল, কাতালগঞ্জ হয়ে অলিখাঁ মসজিদ চকবাজার, কেয়ারি মোড়, প্যারেড ময়দানের পশ্চিম পাশ হয়ে চট্টগ্রাম কলেজ, গণি বেকারী (ডানে মোড়), খাস্তগীর স্কুল (ডানে মোড়), শহীদ সাইফুদ্দিন খালেদ রোড হয়েআসকার দিঘী, কাজীর দেউরী (বামে মোড়), আলমাস (বামে মোড়), ওয়াসা (ডানে মোড়), জিইসি, দুই নম্বর গেট, পুনরায় মুরাদপুর (ডানে মোড়) বিবিরহাট, জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন জুলুস ময়দানে দুপুর ১২টায় মাহফিল। একই ময়দানে যোহরের নামাজ এবং নামাজ শেষে দোয়া ও আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।

গাউসিয়া কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার জানান, ১৯৭৪ সালে (১৩৯৫ হিজরি) থেকে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (র.) নির্দেশনা ও রূপরেখা অনুসারে দেশে সর্বপ্রথম জশনে জুলুস আত্মপ্রকাশ করে। সর্বপ্রথম জুলুস চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জ বলুয়ারদীঘি পাড়ের খানকাহ এ কাদেরিয়া সৈয়দিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে শুরু হয়। আনজুমানে রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় দেশের প্রথম জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন আনজুমান ট্রাস্টের তৎকালীন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আলহাজ্ব নূর মোহাম্মদ আল কাদেরী। আর ১৯৭৬ সালে হুজুরকেবলা তৈয়্যব শাহ (র.) বাংলাদেশে সফরে আসেন। এরপর তিনি নিজেই জুলুসে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। তিনি প্রতিবছর ৯ রবিউল আউয়াল ঢাকা এবং ১২ রবিউল আউয়াল চট্টগ্রামে আয়োজিত জশনে জুলুসে নেতৃত্ব দেন।

তিনি আরও জানান, এবার জুলুসে অন্যান্য বছরের তুলনায় লোক সমাগম বেশি হবে। জুলুসে নেতৃত্ব দেবেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্। জুলুসের শৃঙ্খলায় ৫-৬ হাজার আঞ্জুমান সিকিউরিটি ফোর্সের সদস্যরা কাজ করবেন। সেই সঙ্গে থাকবেন গাউসিয়া কমিটির অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক। বুধবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় আসেন আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ্, আল্লামা পরী সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ্ ও আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ।

ট্যাগ :