স্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ ৬ ই আষাঢ়। চট্টগ্রামে আগত বার আউলিয়ার অন্যতম একজন মহান সুফি সাধক হজরত শাহ মোহছেন আউলিয়া ( রহঃ) এর পবিত্র বার্ষিক ওরশ শরীফ আনোয়ারা উপজেলার বটতলী গ্রামে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। করোনা মহামারির কারণে সরকারী স্বাস্থ্য বিধি মেনে এই বছরও ওরশ শরীফটি সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হবে।
বার আউলিয়ার পূণ্য এবং ধন্য ভূমি চট্টগ্রাম আবাদ হয় পীর, আউলিয়া, ফকির দরবেশগণের মাধ্যমে। চট্টগ্রামে প্রকৃত পক্ষে ইসলামের পতাকা উড্ডীন হয় সুদূর আরব থেকে আগত পীর আউলিয়াদের দ্বারা। হযরত মুহাম্মদ (স.) কর্তৃক ইসলাম ধর্ম প্রচারিত এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সাহাবী, পীর, আউলিয়া, ফকির, দরবেশগণ সারা পৃথিবীতে ইসলাম প্রচার এবং প্রতিষ্ঠিত করেন। সুদূর আরব থেকে চট্টগ্রামে আগত পীর আউলিয়া, ফকির, দরবেশগণের মধ্যে মহান বুজুর্গ অলি হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.) অন্যতম একজন। চট্টগ্রামে তাঁর আগমনের সময় কাল সঠিকভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় তের শতকের শেষের দিকে তিনি চট্টগ্রামে আগমন করেছিলেন। তিনি প্রখ্যাত পীর হযরত বদর শাহ (রহ.) এর সাথে চট্টগ্রামে আগমণ করেছিলেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। হযরত শাহ মোহছেন আউলিয়া (রহ.) এর আদি নিবাস ইয়েমেনে। তাঁর পূর্বপুরুষের পরিচয় জানা না গেলেও বিভিন্ন ইসলামী চিন্তাবিদদের মতে তিনি একজন সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান ছিলেন। ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তিনি ইসলাম প্রচারে নেমে যান। তিনি ইয়েমেন থেকে প্রথমে ভারতে গৌড় রাজ্যে আগমন করেন। গৌড়রাজ্য তখন শিক্ষা, শিল্প সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু ছিল। গৌড়রাজ্যে কিছুদিন অবস্থান করার পর হযরত মোহছেন অাউলিয়া (রহ.) সাগর পথে চট্টগ্রামে আগমণ করেন। তিনি চট্টগ্রামে এসে কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত দেয়াং এর পাহাড়ে আস্তানা গড়েন। দেয়াং এর পাহাড়ে অবস্থান করে তিনি চট্টগ্রামের বিভিন্ন অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে থাকেন। তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা এবং মোহনীয় শক্তি সবাইকে মোহিত করত।