স্টাফ রিপোর্টারঃ
৪৩তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা গতকাল রোববার শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এবার লিখিত পরীক্ষায় ১৫ হাজার ২২৯ প্রার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৫৫৮ জন অনুপস্থিত ছিলেন। পরীক্ষায় উপস্থিতির হার ৮৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
পিএসসি সূত্র জানায়, গতকাল থেকে লিখিত পরীক্ষা ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহে একযোগে ১৫টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আবশ্যিক বিষয়ের এ পরীক্ষা চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা যাতে দেখাদেখি ও কথা-বলাবলি করতে না পারেন, সে জন্য কড়া অবস্থান নিয়েছে পিএসসি। এ জন্য আসনবিন্যাসের পরিবর্তনসহ বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে পিএসসির একাধিক সূত্র জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে নয়টায় লটারির মাধ্যমে চারটি সেট থেকে পরীক্ষার সেট নির্বাচন করা হয়। এ সময় সাহিত্যিক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এবার পরীক্ষা শুরুর সময় প্রতিটি কক্ষেই পরীক্ষকেরা পরীক্ষার্থীদের জন্য নানা নির্দেশনা ও সতর্কতা জারি করেন।
পিএসসির একজন সদস্য বলেন, ‘পরীক্ষা মানে পরীক্ষা, দেখাদেখি বা কথা-বলাবলি নয়’ স্লোগানে পরীক্ষা শুরু হয়। এর বাইরে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও পরীক্ষার্থীদের বলা হয়। এগুলোর প্রভাবও পড়তে শুরু করেছে বলে জানান ওই সদস্য।
পিএসসির ওই সদস্য বলেন, নির্দেশনা শুরুর পর বেশ সতর্ক অবস্থায় দেখা গেছে পরীক্ষার্থীদের। বিসিএস পরীক্ষায় কড়াকড়ি আরোপ করে সম্প্রতি পিএসসি কিছু নির্দেশনা ও পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পরীক্ষার সময় দেখাদেখি বা কথা বললে খাতা নিয়ে নেওয়া, পরবর্তী পরীক্ষায় অংশ নিতে না দেওয়া ও অপরাধ গুরুতর হলে প্রার্থিতা বাতিল করা এবং ভবিষ্যতে পিএসসির পরীক্ষায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা। এ ছাড়া প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হলে আবার পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি।
চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করা হয়। ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩, অডিটে ৩৫, তথ্যে ২২, ট্যাক্সে ১৯, কাস্টমসে ১৪ ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।