মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্নিঝড় অশনি মোকাবেলায় প্রস্তুতি


প্রকাশের সময় :৯ মে, ২০২২ ১০:১৫ : পূর্বাহ্ণ

পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ

ঘূর্নিঝড় অশনি’র প্রভাবে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। উপকূলীয় এ এলাকায় গুমোট পরিবেশ বিরাজ করছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। ভ্যাপসা গরম ও প্রচন্ড খরতাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে এ জনপদের মানুষ।

তবে রবিবার দুপুর থেকে বাতাসের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদী এবং সমুদ্রে পানির উচ্চতা এখনও বৃদ্ধি পায়নি। বর্তমানে ঘূর্নিঝড়টি অবজারবেশন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, দক্ষিনপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্নিঝড়টি একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি রবিবার সকাল ৬ টায় পটুয়াখালীর পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২০৫ কিলোমিটার দক্ষিনে, চট্রগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিনপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১১৭৫ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিনপশ্চিমে এবং মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১২৫০ কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিনপশ্চিমে অবস্থান করছিলো।

ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের ৫০ কিলোমিটার এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পায়রা, চট্রগ্রাম, মোংলা ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর সমূহকে দুই নম্বর হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ট্রলার সমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

তবে কলাপাড়ার মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের সকল মাছ ধরা ট্রলার এখনো তীরে এসে পৌছাতে পারেনি বলে জানিয়েছে আড়ৎদার মালিক সমিতি।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, ঘূর্নিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তবে এটি ঠিক কোন এলাকায় আঘাত হানবে সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছেনা।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন গনমাধ্যমকে জানান, রবিবার দুপুরে ঘূর্নিঝড় সম্পর্কিত একটি সভা হয়েছে। সে সভায় সকল নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ঘূর্নিঝড় অশনি মোকাবেলায় প্রস্তুতি সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।

তবে সংকেত তিন কিংবা চার ঘোষনা হলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়া ঘূর্নিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ট্যাগ :