স্টাফ রিপোর্টার;
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রমোট) উত্তম কুমার বিশ্বাসকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। উত্তম কুমার বর্তমানে র্যাব-২, তেজগাঁওয়ে এ কর্মরত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
এদিকে, দুর্নীতির অভিযোগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিদেশ গমনের নিষেধাজ্ঞার পর এবার তাঁকে চাকরি থেকে অবসর দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়—২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উত্তম কুমারের বয়স ৫৯ (উনষাট) বছর পূর্ণ হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সনের ৫৭ নম্বর আইন) এর ধারা ৪৩ (১) (ক) অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।
আরও বলা হয়—তাঁর অনুকূলে ১৮ (আঠারো) মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ লাম্পগ্রান্টসহ গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ (এক) বছরের অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হলো।
সেই সঙ্গে তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। এ সময় আদালত তার কাছে জানতে চান, উত্তম কুমার এখনও চাকরিরত কি না। জবাবে দুদক প্রসিকিউটর জানান, তিনি এখনও চাকরিরত। শুনানি শেষে আদালত উত্তম কুমারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ মঞ্জুর করেন।
উত্তম কুমারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে দুদকের পক্ষে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক রুহুল হক।
আবেদনে বলা হয়, র্যাব-২–এ কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে, যা বর্তমানে চলমান। ইতোমধ্যে তার ও তার স্ত্রীর নামে সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানকালে উত্তম কুমার সব হিসাব বন্ধ করে দেশত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এ জন্য তার বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা একান্ত প্রয়োজন।
এদিন দুদকের পক্ষের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীরের কাছে আদালত জানতে উত্তম কুমার এখনো চাকরিরত কি-না। পরে আদালতকে জানানো হয় উত্তম কুমার এখনো কর্মরত। এরপর তাকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন আদালত।