স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাংলাদেশের মানুষ আল জাজিরা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরের ২ নম্বর গেটে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টার ম্যান’ শীর্ষক যে মিথ্যা-বানোয়াট নিউজ আল জাজিরা প্রচার করেছে, এর পেছনে এ দেশীয় ষড়যন্ত্রকারী কারা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আল জাজিরার নিউজ থেকে বাংলাদেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তারপরও যারা এ মিথ্যা নিউজ প্রচার করেছে সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি। কেন মিথ্যা বানোয়াট নিউজ তারা প্রচার করেছে সেগুলোর উদ্দেশ্য কী তা খতিয়ে দেখছে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুশতাক আহমেদ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে প্রথমে কারা হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন। তার মৃত্যু স্বাভাবিক হোক আর অস্বাভাবিক হোক ময়নাতদন্ত করা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার, সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, জাতীয় সংসদের হুইপ ও সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী, সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর ও চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ষোলশহর ২নং গেট এলাকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অবস্থান ছিল। কিন্তু ভবনটা পুরনো ও সংকীর্ণ হওয়ায় বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। জেলা পুলিশের প্রস্তাবনা মোতাবেক নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ২০১৭ সালে আদেশ পায় গণপূর্ত অধিদফতর। চারতলার এই ভবন নির্মাণে মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
গণপূর্ত অফিস সূত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ে জেলা পুলিশ সুপার ভবনটি ছয় তলা বিশিষ্ট নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চার তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার অনুমতি দেয় গণপূর্ত অধিদফতর। সেই হিসেবে চার তলা নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। বাকি দুইতলা প্রয়োজন হলে নতুন করে বরাদ্দ সাপেক্ষে করা হবে।
২০১৭ সালে গণপূর্ত বিভাগ-২ এর অধীনে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হলে সাময়িক সময়ের জন্য পুলিশ সুপারের অফিসের কার্যক্রম চলে যায় হালিশহর ছোটপুলের জেলা পুলিশ লাইন্সে। উদ্বোধনের পর আজ শুক্রবার থেকে আবার পুরনো স্থানে নতুন ভবনে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের কার্যক্রম শুরু হলো।