মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাত্র ৭ টাকার ফুলকপি ৬০ টাকা কেন, প্রশ্ন নানকের!!


প্রকাশের সময় :৪ ডিসেম্বর, ২০১৯ ৩:২০ : পূর্বাহ্ণ

নিউজ-ডেস্ক:

কুমিল্লার একটি বাজারে ৭টাকায় যে ফুলকপিটি বিক্রি হয়, সেটি ঢাকার কারওয়ান বাজার ঘুরে ঢাকার খুচরা বাজারে কেন ৬০ টাকা হয়, সেই প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।

সোমবার গভীর রাতে কুমিল্লার নিমসার বাজার পরিস্থিতি ঘুরে এসে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পণ্যের দামের এই বড় ফারাক তুলে ধরেন তিনি। রাজধানীর ফারস হোটেলে ‘নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে ব্যবসায়ী সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানের অতিথি হিসেবে থাকবো জানতে পেরে আমি রাত ১১টায় ঢাকা থেকে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা দেই। রাত সোয়া ১২টার দিকে নিমসার বাজারে গিয়ে পৌঁছাই এবং রাত আড়াই পর্যন্ত আমি নিমসার বাজারে বাজারদরটি বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি কথা বলেছি তৃণমূলের কৃষকের সঙ্গে যারা মাথায় করে মালামাল নিয়ে এসে বিক্রি করছে। তারা কতো টাকা পাচ্ছে সবজির দাম। এই বিষয়গুলো আমি লুঙ্গি পড়ে সাধারণ মানুষের মতো বোঝার চেষ্টা করেছি।’

‘কেন নিমসার বাজারে যে ফুল কপি কিনছে ৭ টাকায়, সেই ফুল কপি কারওয়ানবাজারে তিন হাত বদলে ২০ টাকা বিক্রি হবে। সেই ২০ টাকার কারওয়ান বাজারের কপি এখান থেকে যেতে না যেতেই কৃষি মার্কেটে গিয়ে ৬০/৭০ টাকা হয়ে যাবে কেন? এটি মেনে নেয়া যায় না। এটি কোনো জনবান্ধব সরকার মেনে নিতে পারে না। এটি জনগণের দল আওয়ামী লীগ মেনে নিতে পারে না।’

এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে রমজান মাসে বাজার দর নেমে যায় আর আমাদের দেশের ব্যবসায়ী রমজান মাসে হাকিয়ে উপরে উঠিয়ে নিয়ে যায়। এটি লজ্জার।’

দেশের বাজার ব্যবস্থাপনায় একটি অসুস্থ অবস্থা বিরাজ করছে উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘সেই অসুস্থ অবস্থায় দায়িত্বশীল একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিশ্চুপ থাকতে পারে না, আমরা কখনো থাকিনি। ২০০৮ সালের সরকার গঠনের পর এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করছিলাম একটি বিকল্প বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার। রাজধানীর বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে বসে আমরা চেষ্টা করেছিলাম বোঝার জন্য কোথায় শুভাঙ্করের ফাঁকি রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই বাজার পরিস্থিতিকে লাগামহীন হতে দেয়া যাবে না। একটি জনগণের সরকার এমনিভাবে বাজারের যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি রয়েছে, সেটি মেনে নিতে পারে না। কারণ এই সরকার শেখ হাসিনার সরকার, ব্যবসা বন্ধাব সরকার।’

এ সময় আওয়ামী লীগের এই নেতা ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ভোজ্য তেলের বাজার, চালের দাম বাড়ে নি? কেন বাড়ছে আদার দাম? কেন বাড়ছে বসুনের দাম? বাধাকপি, ফুলকপি এগুলো আমি বলতে চাই না। কেন ফুলকপির দাম বাড়বে?’ “আজকে থেকে সকল ব্যবসায়ীরা মানুষের মুখের দিকে তাকিয়ে এমন একটি সিদ্ধান্ত নেন, দর সহনীয় মাত্রায় নিয়ে আসতে হবে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি এখন ক্ষয়িষ্ণু মধ্যবিত্তে পরিণত হয়েছে।’

ট্যাগ :