স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকার বাসাবো এলাকার মোঃ নাজমুল হুদা নামে এক সাংবাদিক করোনাভাইরাসেে আক্রান্ত হয়েছেন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তিনি যে বাসায় থাকেন সেটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। ভুক্তভোগী নাজমুল বলেন, ‘আমাদের বাসায় বাইরে থেকে তালা মেরে দিয়েছে। দুপুরেও খাইনি। আমার জীবন চলে গেলেও কষ্ট পাব না। কিন্তু আমার পরিবারের কিছু হলে আমি কি করবো।’
ঢাকার একটি গণমাধ্যমে কাজ করা নামজুল বলেন, ‘আমি আমার জন্য বলছি না। আমার মা, ভাইয়া আর বোনের জন্য আমি বলছি। তাদেরকে অন্তত বাঁচান।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাজমুল বলেন, ‘গত কয়েক দিন আগে আমার অফিসের এক স’হকর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এরপর নিজে থেকেই আইইডিসিআরে গিয়ে গত ২৭ এপ্রিল করোনা টেস্ট করাই। পরে গতকাল শুক্রবার আমাকে ফোনে জানানো হয় আমি করোনা আক্রান্ত।’
তিনি বলেন, ‘এই কথা জানার পরই আমাদের বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে দিয়েছে এলাকাবাসী। আমার পরিবারের কাউকেই বাসা থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘরে বাজারও করা নেই। তাই হঠাৎ এমন ঘটনায় হতভম্ভ হয়ে পড়ি আমরা। পরে আমি সিদ্ধান্ত নেই যে, পাশেই আমার বোন-দুলাভাইয়ের একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাট রয়েছে। বর্তমানে সেটি ফাঁকা। তাই সেখানে আমার মা-ভাইয়া ও বোনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখতে চাই। কারণ যেহেতু এখনো তাদের টেস্ট করা হয়নি। তাই তারা করোনা আক্রান্ত নাও হতে পারেন।’
করোনা আক্রান্ত ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘মূলত আমি চাইছি যেহেতু আমি পজিটিভ তাই আমি আলাদা একা এ বাসায় আইসোলেশনে থাকবো। আর আমার পরিবারের সবাই ওই ফ্ল্যাটে থাকবেন। কিন্তু এলাকাবাসী তাদের তো বের হতেই দিচ্ছেন না। এত অমানবিক মানুষগুলো।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ওই বাসার মালিকের ছেলে বলেন, ‘তার দুলাভাইয়ের বাসা এটা। তিনি গ্রামে চলে গেছেন। এখন এই বাসায় তাদের কীভাবে থাকতে দিবো। তারা তো ক’রোনা পজিটিভ। ’
বিষয়টি নিয়ে সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরে সেখানে থানা থেকে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবেন।’