মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিদারের দোয়াত-কলমের চেয়ে জরিপে এগিয়ে হারুনের আনারস প্রতীক


প্রকাশের সময় :২৬ মে, ২০২৪ ২:০৫ : অপরাহ্ণ

এম.এইচ মুরাদ:

আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চট্টগ্রামের পটিয়ায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মাত্র দুইজন প্রার্থী। তারা হলেন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক  মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ (আনারস প্রতীক) এবং মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার (দোয়াত–কলম প্রতীক)। নির্বাচনের মাঠে দুই প্রার্থীর সমান তালে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সাবেক পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশীদের কর্মী সমর্থকরা স্থায়ী ও আন্তরিকভাবে নির্বাচনী কাজ করছে বলে জানা গেছে। আর নগর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম দিদার (দোয়াত কলম) প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা অনেকটা ভাসমান বলে মনে করছেন পটিয়া উপজেলার সাধারণ ভোটাররা।

দিদারের দোয়াত-কলমের পক্ষে যারা কাজ করছে তারা অনেকে আবার গোপনীয়তা রক্ষা করে অধ্যাপক হারুনুর রশীদে আনারস প্রতীকের হয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে বলে ভোটাররা জানান। কিছ কিছু ব্যাক্তি এলাকায় দোয়াত কলম প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েও  প্রকাশ্যে আসছে না। আনারস প্রতীকের প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশীদের বাড়ি পটিয়া পৌরসভায় হওয়ায় পৌরসভার ৭৫% ভোটার তার পক্ষে রয়েছে বলে ধারণা করছেন সাধারণ ভোটাররা। এছাড়াও পৌরসভার আশপাশের ইউনিয়ন ভাটিখাইন, কচুয়াই, খরনা, হাইদগাঁও, দক্ষিণ ভূর্ষি, জঙ্গলখাইন, ধলঘাট, আশিয়া, কেলিশহর, বড়লিয়া ইউনিয়নে আনারস প্রতীক সমর্থনের দিক দিয়ে দিয়ে ৬৫% এগিয়ে রয়েছে। বাকী ইউনিয়ন শোভনদন্ডী, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, কোলাগাঁও, কুসুমপুরা ইউনিয়নে দোয়াত কলম প্রতীক আর আনারস প্রতীকের সমর্থন কিছু এলাকায় ৪৮/% দোয়াত কলম সমর্থনের দিক দিয়ে এগিয়ে থাকলেও সার্বিকভাবে আনারস প্রতীক এগিয়ে রয়েছে বলে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষন সংস্থার জানিপপ এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে আসছে। নিরপ্রেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে আনারস প্রতীকের জনপ্রিয়তা দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ে গড়ে ১৫.৮০% বেশী আছে বলে জরিপে বলা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে ব্যক্তির দিক দিয়ে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর জনপ্রিয়তা প্রায় ২০% এর বেশী সাধারণ ভোটারদের কাছে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষন সংস্থা  প্রত্যাক ইউনিয়নে ১০০ জন করে মোট ২০০০ এর বেশি ভোটারদের সাথে কথা বলে এই জরিপ করেছে বলে জানা গেছে।

দুই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে পটিয়া উপজেলা নির্বাচনকে ঘিরে পটিয়ায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম দ্বিধা বিভক্তির সৃষ্টি হয়েছে। দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে–বিপক্ষে পুরো পটিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন মেরুকরণ সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কিছু নেতাকর্মী তাদের অবস্থান স্পষ্ট করলেও অধিকাংশ নেতাকর্মী তাদের অবস্থান নিয়ে এখনো দুটানায় রয়েছেন। দলীয় বিভক্তির রেশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ছড়িয়ে পড়েছে। একে অপরকে ঘায়েল করার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরস্পরের প্রতি আক্রমণাত্মক তীর ছুঁড়ছেন। বিভিন্ন প্রচার প্রচারণা ও সভা সমাবেশে এক প্রার্থী অপর প্রার্থীকে ঘায়েল করার জন্য পক্ষে বিপক্ষে বক্তব্য রেখে মাঠ গরম করছেন।

পটিয়া পৌরসভা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক ডিএম জমির উদ্দীন বলেন, কিছু মানুষ দোয়াত-কলম আর আনারস প্রতীকের উভয় প্রার্থীর সাথে সর্ম্পক রেখে চলছে বিষয়টি আমাদের নজরে এবং প্রার্থীর নজরেও আসছে। তবে আমরা তাদের বিষয়ে খুব সজাগ আছি। আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা পটিয়া পৌরসভার আওয়ামী লীগ নেতা সাহাব উদ্দীন বলেন, পটিয়ার মানুষের কাছে পরীক্ষিত প্রার্থী হচ্ছে অধ্যাপক হারুনুর রশীদ। তিনি শিক্ষিত, ভদ্র, ভালো পরিবারের মানুষ, জনপ্রিয় নেতা এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছিলেন। যার কারণে উনার অবস্থান, গ্রহনযোগ্যতা ও পরিচিতি সাধারণ মানুষের কাছে খুব বেশি। উনার প্রতি পটিয়ার গণমানুষের আস্থা এবং বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি নির্বাচনে উনার আনারস প্রতীকের বিজয়ের মাধ্যমে প্রমান হবে বলে আশা রাখছি।

জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদের (জানিপপ) চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ মহিউদ্দীন জানান, পটিয়া উপজেলার পরিষদের  নির্বাচনের এখন মাত্র কয়েকদিন বাকী আমরা সরেজমিন মাঠের বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছি। আমাদের সংস্থার কাজই হচ্ছে নির্বাচনী কাজ করা। জরিপে অনেক সময় কোন প্রার্থীর পক্ষে বিপক্ষে গেলেও কিছু করার নেই। তবে ভোটের দিন নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে কিনা, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার থাকবে কিনা এবং ভোটারদের উপস্থিতির কি পরিমান থাকবে, এইসব কিছুর উপরও অনেকটা নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফল।

উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য পটিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পটিয়া থেকে ৫জন চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। দলীয়ভাবে একক প্রার্থী করতে সমাঝোতা বৈঠক করেও জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ব্যর্থ হন। এর ধারাবাহিকতায় নগরীর পিটস্টপ রেঁস্তোরার সামনে চেয়ারম্যান প্রার্থী দিদারুল আলম দিদার ও অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বদিউল আলম বদির সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটে। সবশেষে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী। বর্তমানে চেয়ারম্যান পদে ২জন, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। তারা সবাই আওয়ামী লীগ ঘরনার প্রার্থী বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :