স্টাফ রিপোর্টার:
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের কারণে শনিবার (২৫ মে) আবহাওয়া অধিদফতর তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। সতর্ক সংকেত ঘোষণাকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে জারি করা হয়েছে এলার্ট-১।
শনিবার (২৫ মে) সকালে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। সভায় আবহাওয়া পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে নিজস্ব সতর্কতা আরো বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার কারণে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। তবে জেটিতে পণ্য খালাস চলছে। জেটিতে অব্যাহত আছে জাহাজে পণ্য ওঠানামাও।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, তিন নম্বর সিগন্যাল ঘোষণা করা হলে নিয়ম অনুযায়ী এলার্ট-১ জারি হয়। তবে আমরা আবহাওয়ার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আছি। সিগনাল আরো বাড়লে বন্দরে সতর্কতা আরো বাড়ানো হবে। শনিবার সকালে বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে প্রস্তুতিমূলক নানা বিষয় আলোচনা করা হয়। সতর্ক সংকেত পরিবর্তন হলে চট্টগ্রাম বন্দরের প্রস্তুতিও জোরদার করা হবে। বৈঠক করা হবে সব স্টেকহোল্ডারদের সাথে।
আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েব সাইটে শনিবার (২৫ মে) দুপুর ২টায় বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিলোমিটার ও পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে এক নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর তিন নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পণ্য লাইটারেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। লাইটার জাহাজগুলো কর্ণফুলী নদীর নিরাপদ স্থানে নোঙর করে আছে। যাতে যে কোন পরিস্থিতিতে নিরাপদে থাকা যায়।