স্টাফ রিপোর্টার:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে কোম্পানির যে আয় হচ্ছে তা দিয়েই স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপনের খরচ মেটানো যাবে । গতকাল রোববার (১২ মে) ঢাকা ক্লাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের ছয় বছর পূর্তিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কক্সবাজার থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণে ব্যয় হয়েছে দুই হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। এটি ২০৩৪ সাল নাগাদ প্রতিস্থাপন করতে হবে। আর বিএসসিএল যে হারে আয় করছে তাতে এর মধ্যেই স্যাটেলাইট প্রতিস্থাপনের সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে।
এ সময় দেশের পরবর্তী স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ হবে আর্থ অবজারভেটরি বা পৃথিবী পর্যবেক্ষণকারী স্যাটেলাইট। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ভূ-প্রকৃতি, নদী ও সাগর নিয়ে গবেষণার দ্বার উন্মুক্ত হবে এবং ব্লু ইকোনমির পরিপূর্ণ সুফল গ্রহণের পথে আমরা আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সফল উৎক্ষেপণের ৬ষ্ঠ বর্ষপূর্তি উদযাপন করছি, সেটি জাতির পিতার কারণেই। তিনিই প্রথম ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়া উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র উদ্বোধনের মাধ্যমে বহির্বিশ্বের সঙ্গে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার সূচনা করেন।’
ছয় বছরে স্যাটেলাইটের কারিগরি ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের সাফল্যের প্রশংসা করেন ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, দেশের সকল টিভি চ্যানেল, ২৬টি বিদেশি চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ সেবা ‘আকাশ ডিটিএইচ’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে সম্প্রচারিত হচ্ছে। প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকা বিশেষত পার্বত্য, উপকূলীয়, হাওড় এবং দ্বীপাঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেলস ওনার্সের (অ্যাটকো) সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।