মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের পেঁয়াজে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের


প্রকাশের সময় :৮ জানুয়ারি, ২০২১ ৪:৪৩ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সংকটকালীন পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিলেও ভরা মৌসুমে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি শুরু করেছে ভারত।

অন্যান্য বন্দরের মতো দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়েও ভারত থেকে আসছে পেঁয়াজ। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজ আসলেও এসব পেঁয়াজে আগ্রহ নেই ক্রেতাদের। দেশি পেঁয়াজেই চাহিদা তাদের। 

সরেজমিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ না নিয়ে দেশি পেঁয়াজই কিনছেন ক্রেতারা। দামের তেমন বেশি পার্থক্য না থাকায় এবং মানের কথা ভেবে তারা দেশি পেঁয়াজই কিনছেন।

বৃহস্পতিবার দিনাজপুরের অন্যতম বৃহৎ কাঁচাবাজার বাহাদুরবাজারে গিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৫ টাকা থেকে ৪০ টাকায়। আর ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৪-৩৫ টাকায়। 

অর্থাৎ কেজিপ্রতি দামের পার্থক্য ৫ টাকার মধ্যেই। ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুণগতমান ভালো হওয়ায় এ দামের পার্থক্য না দেখে বাজারের বেশিরভাগ ক্রেতা দেশি পেঁয়াজই কিনছেন। 

বাহাদুরবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ভোক্তা জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের চেয়ে দেশি পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো। তাছাড়া দেশি পেঁয়াজ বাড়িতে রাখাও যায় অনেক দিন। কিন্তু ভারতীয় পেঁয়াজ বেশিদিন রাখলে পচে যায়। এ কারণে ৩-৪ টাকা বেশি দিয়ে হলেও দেশি পেঁয়াজই কিনেছেন তিনি। বাজারে অন্যান্য ক্রেতাও জানান অনুরূপ কথা। 

বাজারের বিক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার পর তারা ভেবেছিলেন, ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বেশি হবে। কিন্তু এখন তারা দেখছেন, ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ নয়, দেশি পেঁয়াজের প্রতিই বেশি চাহিদা ক্রেতাদের। এ কারণে ব্যবসায়ীরা আর হিলি থেকে তেমন ভারতীয় পেঁয়াজ আনছেন না। 

বৃহস্পতিবার বাহাদুরবাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাজেদুর রহমান জানান, গত মঙ্গলবার তিনি হিলি স্থলবন্দর থেকে ৭ টন ভারতীয় পেঁয়াজ এনেছিলেন। চাহিদা না থাকায় তিন দিনে তা বিক্রি করতে হিমশিম খেতে হয়েছে। 

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার তিনি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ১৩০ বস্তা। কিন্তু ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন মাত্র ১০ বস্তা। বাজারে চাহিদা না থাকায় আপাতত হিলি স্থলবন্দর থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আনবেন না বলে জানান তিনি। 

এদিকে হিলি কাস্টমসের উপকমিশনার সাইদুল আলম জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক রয়েছে। এই বন্দর দিয়ে গত মঙ্গলবার পর্যন্ত চলতি সপ্তাহের গত ৫ কার্যদিবসে ১১টি ভারতীয় ট্রাকে ২৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারত থেকে আমদানি হয়েছে।

ট্যাগ :