মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনায় আক্রান্তের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ


প্রকাশের সময় :১৩ জুন, ২০২০ ১:৫৫ : অপরাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮৬৫ জন।

আজ শনিবার (১৩ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মহাপরিচালকের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে এখন এ ভাইরাসে আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৪ হাজার ৩৭৯ জন। আর এ কারণে এই ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের উৎসস্থল চীনকে মোট আক্রান্তের সংখ্যার দিক দিয়ে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। চীনে মোট আক্রান্ত ছিল ৮৪ হাজার ২২৮ জন।

চীনে প্রাদুর্ভাবের তিন মাস পর বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম রোগী ধরা পড়েছিল ৮ মার্চ। তার ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে।
৪৪ জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশে এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯।

সারাদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৭৮ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
বুলেটিনে জানানো হয়, সারাদেশে ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

করোনাভাইরাসে বিশ্বে আক্রান্ত সাড়ে ৭৬ লাখের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে ২০ লাখ ৪৮ হাজার জন।

শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিচারে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টাদশ স্থানে। বাংলাদেশের উপরে রয়েছে কানাডা যেখানে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় এক লাখ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বাংলাদেশের বেশি।

আর মৃত্যুর সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বে ৩১তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।

বৈশ্বিক তালিকায় চতুর্থ স্থানে থাকা ভারতে ৩ লাখের বেশি আক্রান্তের মধ্যে মারা গেছে প্রায় ৯ হাজার জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ১ লাখ ৩২ হাজারের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে আড়াই হাজার জনের।

বাংলাদেশে আক্রান্ত বিবেচনায় মৃতের হার ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ বলে জানান অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ, ১১ জন নারী। তাদের ২৭ জন হাসপাতালে, ১৪ জন বাড়িতে মারা গেছেন এবং ৩ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।

মৃতদের ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১৩ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ৪ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪ জন বরিশাল বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১ জন খুলনা বিভাগের।

মৃত ৪৪ জনের মধ্যে ৩ জনের বয়স ছিল ৮০ বছরের বেশি। ৭ জনের বয়স ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে।

এছাড়া ১১ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৫ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ছিল ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ছিল ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

অধ্যাপক নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে আনা হয়েছে ৪৯৬ জনকে। বর্তমানে সারা দেশে আইসোলেশনে রয়েছেন ৯ হাজার ৩৪০ জন রোগী।

বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৬৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ১৭ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ট্যাগ :