মোস্টবেট বাংলাদেশের সেরা বুকমেকার। স্পোর্টস বেটিং, অনলাইন ক্যাসিনো সকলের জন্য সীমাবদ্ধতা ছাড়াই উপলব্ধ, এবং একটি ব্যাঙ্ক কার্ডে Mostbet withdrawal সম্ভব!
Türkiye'nin en iyi bahis şirketi Mostbet'tir: https://mostbet.info.tr/

বাংলাদেশ, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪ ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস আজ


প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০২৪ ৫:০২ : পূর্বাহ্ণ

স্টাফ রিপোর্টার:

দেশে আর্থসামাজিক নানামুখী সংকট ও বিশৃঙ্খলার মূলে দেশে বেশি জনসংখ্যার চাপকেই দায়ী করা হয়। তবে এর আড়ালে এখনই বিশেষজ্ঞদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে শুরু করেছে উল্টো সমীকরণে। আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন বিশ্লেষণেও উঠে এসেছে এমন সমীকরণ।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনসংখ্যা পর্যালোচনা করা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ২০৬৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর থেকেই উল্টোপথে জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। যদিও বেশি জনসংখ্যাকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির বড় মূলধন হিসেবে কাজে লাগানোর দিকে জোর দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরিকল্পনায়। 

এই পরিকল্পনা ঠিকঠাকভাবে কার্যকর হলে মাইনাস গ্রোথের দুশ্চিন্তা কমে যাবে বলে মত দিয়েছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালন করা হচ্ছে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উপাত্ত ব্যবহার করি, সাম্যের ভিত্তিতে সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’।

ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউর তথ্য সূত্রে দেখানো হয়েছে, গত ৬০ বছরে বাংলাদেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে, ১৯৬৭ সালে যা ছিল সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৩ শতাংশ। এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশে নেমে এসেছে। 

তবে ২০৩০ সাল নাগাদ বৃদ্ধির হার কমে দাঁড়াবে শূন্য দশমিক ৮৯ শতাংশে এবং তখন দেশের জনসংখ্যা হবে ১৮ কোটি ৪৪ লাখ। তবে ২০৬৫ সাল নাগাদ উল্টো চিত্র দেখা শুরু হবে বাংলাদেশে। ওই বছর দেশের জনংসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২০ কোটি ৬৪ লাখে। 

কিন্তু জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নেমে যাবে মাইনাস শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশে। আর বাড়বে না জনসংখ্যা। বরং কমতে শুরু করবে লাফিয়ে লাফিয়ে। বছরে ২০-৪০ লাখ করে জনংসংখ্যা কমতে থাকবে, বাড়বে না মোটেও। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০৬৫ সালের পর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশ বড় ঝুঁকির দিকে এগিয়ে যাবে। সেদিকে নজর রেখে এখন থেকে বড় পরিকল্পনা দরকার।

অর্থনীতিবিদ ও বাংলাদেশ প্রবীণ অধিকার মঞ্চের চেয়াম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান খবরের কাগজকে বলেন, ‘আমাদের দেশে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় আইন ও নীতিমালা থাকলেও তা বাস্তবায়নে আগাম তেমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় না। ফলে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হয়। আমাদের বড় সুযোগ থাকলেও এখন পর্যন্ত দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো যায়নি। 

২০৩৫-৩৬ সাল পর্যন্ত এই সুযোগ থাকবে। এরপরই কমতে শুরু করবে। বয়স্ক জনগোষ্ঠী বাড়বে। তখন বয়স্করা রাষ্ট্র ও সমাজের বোঝা হয়ে উঠবে যদি তাদের জন্য আগেভাগে সঠিক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়। এখনকার তরুণরা যদি এখন আয় করে সঞ্চয় বাড়াতে পারে তবে বয়সকালে তাদের টেনশন থাকবে না।

তিনি বলেন, ‘জনসংখ্যার ঊর্ধ্বগতি থেমে গেলে যে যে বিপদ আসতে পারে, সে জন্য এখনই আমাদের আরও কার্যকর পরিকল্পনা নিতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু হাসানাত মো. কিশোয়ার হোসেন খবরের কাগজকে বলেন, ‘আগে আমরা বেশি দৃষ্টি দিয়েছিলাম জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে। এখন আমরা নজর দিচ্ছি জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায়। সরকারও তাই করছে। বিশেষ করে আমাদের জনসংখ্যাকে যদি সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করে উন্নয়নের কাজে লাগানো যায় তবে সামনে নেগেটিভ গ্রোথের ঝুঁকি কমে যাবে।’

ওই বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘আমাদের এখানে সমস্যা হচ্ছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত থাকে না। একেক জায়গায় একেক ধরনের তথ্য থাকে। যেমন: এখন আমাদের দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২ দশমিক ১। কিন্তু কোথাও কোথাও এটা আছে ২-এর নিচে, যা নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়। যার প্রভাব পড়ে পরিকল্পনার ওপরে। সঠিক তথ্য না হলে সঠিক পরিকল্পনা হয় না। এ জন্য আমাদের বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে আরও কার্যকর করা দরকার।’

ট্যাগ :