স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন। হিসাব অনুযায়ী, আগামী বছরের মার্চে যেসব ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বছর মেয়াদ হবে, সেসব ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে এ বছরের সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে। আর যেসব ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ আগামী বছরের জুনের প্রথম দিকেই শেষ হবে, সেসব ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ করতে হবে এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে আগামী বছরের মে মাসের মধ্যে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের এখনো ২ থেকে ১০ মাস বাকি থাকলেও এখন থেকেই তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও সদস্য (মেম্বার) প্রার্থীরা। এবারের কোরবানের ঈদে নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কেউ কেউ একাধিক গরু জবাই করে বিলি করেছেন এলাকার ভোটারদের মধ্যে। এখানেই থেমে থাকছেন না সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইউপি নির্বাচন সামনে রেখে বাড়ি, পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজার ও রাজনৈতিক কার্যালয়গুলো এখনই প্রায় সরগরম। কোথাও কোথাও শুরু হয়ে গেছে নগদ অর্থের ছড়াছড়িও।
বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শুরু হয়ে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন শেষ হয় ঐ বছরের ৪ জুন। আইন অনুযায়ী কোনো ইউনিয়ন পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে, আইন অনুযায়ী জেলা পরিষদ প্রথমবার গঠনের ক্ষেত্রে প্রথম নির্বাচনের তারিখ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ঠিক করেছে। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেছিল ইসি। প্রথমবার পরিষদের মেয়াদ শেষে পরের নির্বাচনগুলোতে কমিশন নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করবে। আইন অনুযায়ী এক জন চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের পাঁচ জন নারী সদস্য নিয়ে জেলা পরিষদ গঠন হয়। চেয়ারম্যান ও ২০ জন সদস্যকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি করপোরেশন (থাকলে), উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। এজন্য ২০১৬ সালের নির্বাচনে প্রতিটি জেলাকে ১৫টি ওয়ার্ডে ভাগ করা হয়েছিল।
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন (এলজিআরডি) ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ইউপি ও জেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসমূহের আইনগুলো নিয়ে আমরা আজকেও বসেছি। আইনে কিছু জটিলতা রয়েছে। তার পরেও আইন যেভাবে আছে, আমাদের তো সেভাবেই এগোতে হবে। যেহেতু দেশে কোভিড-১৯-এর সমস্যা রয়েছে এবং আগামী দুই-তিন মাসেও আশানুরূপ উন্নতি হবে বলে মনে হচ্ছে না; সেই কারণে সঠিক সময়ে এই নির্বাচনগুলো করা বড় চ্যালেঞ্জ। সেক্ষেত্রে ইউপি ও জেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হলেও সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা যায় কি না, কিংবা বিকল্প কিছু করা যায় কি না, আমরা সেটা ভাবছি।’
